সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা বর্ষাকালকে গোরু পাচারের আদর্শ সময় হিসেবে বেছে নেয়। এইসময় নদীতে জল বাড়ে। চরেও জল উঠে যায়। তারফলে বিএসএফের পক্ষে বিস্তীর্ণ জলমগ্ন এই এলাকার সর্বত্র নজরদারি চালানো সম্ভব হয় না। পাচারকারীরা চর থেকে গোরুর পাল নদীতে নামিয়ে দেয়। নিমতিতা থেকে পাল ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের দিকে চলে যায়। গোরু যাতে ভুলপথে না চলে যায় সেকারণে রাখালরাও লেজ ধরে নদীতে নেমে যায়। তারাও ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশ যায়। সেদেশের পাচারকারীরা নৌকা নিয়ে মাঝ নদীতে অপেক্ষা করে। এদেশের সীমান্ত পেরিয়ে গেলেই তারা রাখাল সহ গোরুর পাল নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। এক আধিকারিক বলেন, দুষ্কৃতীরা যে এলাকাগুলিকে বাংলাদেশে ঢোকার করিডর হিসেবে ব্যবহার করে সেখানেই তার রাখা হবে। নিমতিতার ওই এলাকাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। সেই কারণে সেখানে আগে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাচারকারীরা রাতের অন্ধকারে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করে। নদীর পাড়ে আলোর বন্দোবস্ত নেই। পাচারকারীরা গোরুর পাল নিয়ে গেলে অনেক সময় দেখা যায় না। কিন্তু জলের মধ্যে তার পড়ে থাকলে তারা ওই পথে যাওয়ার সাহস দেখাবে না। বিএসএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নদীর পাড়ে চরগুলিতেও ক্যাম্প বাড়ানো হয়েছে। অনেক সময়ই পাচারকারীরা চরাতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে গবাদি পশু চরে নিয়ে যায়। পরে সুযোগ বুঝে তারা গোরুর পাল নদীতে নামিয়ে দেয়। তাদের এই কৌশল যাতে সফল না হয় সেই কারণে ক্যাম্প বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া নদীতে স্পিডবোটও রাখা হচ্ছে। সন্দেহজনকভাবে কাউকে জলে নামতে দেখলেই ধাওয়া করা হয়। পাচারকারী অনেক সময় কলার ভেলা বেঁধে গোরুর পাল জলে নামায়। হাজার হাজার গবাদি পশু এভাবে ওপারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখে ধুলো দেওয়ার জন্যই তারা এই কৌশল নেয়। জলের নীচে গোরু থাকে। উপরে কলার ভেলা থাকে। সেই কারণে অনেক সময়ই সবকিছু বোঝা দায় হয়ে ওঠে। কিন্তু তার দেওয়ার ফলে তাদের এই কৌশলও কাজে আসবে না। জানা গিয়েছে, পাচার রুখতে নিমতিতার পাশাপাশি জলঙ্গি, রানিনগরেও বিএসএফ ক্যাম্পে বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এইসময় দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে গোরু এনে সীমান্তবর্তী এলাকায় মজুত করে। পরে রাতের অন্ধকারে সুযোগ বুঝে পাচার শুরু করে। এজন্য গ্রামগুলিতেও নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।
বিএসএফের দাবি, সীমান্তে পাচার সম্পূর্ণ বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন রকম কৌশল নেওয়া হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে ওয়াচ টাওয়ারে নজরদারি হচ্ছে। এছাড়া বেশকিছু পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চক্রের অন্যতম মূল পাণ্ডারা জেলে রয়েছে। যারা রাখালের কাজ করত তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।