বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
আরামবাগ মহকুমায় পরিযায়ী শ্রমিকরা ফেরার পর থেকেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। প্রথমদিকে মহকুমার আক্রান্তদের শ্রীরামপুর শ্রমজীবী কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছিল। কিন্তু, সেখানে চাপ বাড়তে থাকায় আরামবাগে থাকা প্রাক কোভিড হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা হয়। তবে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় সেখানেও চাপ হবে বলে করছেন প্রশাসনের কর্তারা। এরপরই বিকল্প হিসেবে গোঘাটের ভিকদাসের কোয়ারেন্টার সেন্টারকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের বিষয়ে বুধবার গোঘাট-১ বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও ব্লকের অধীনস্থ প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও স্বাস্থ্যকর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়। ওই বৈঠকে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান ও প্রশাসনিক কর্তারা উপস্থিত থাকলেও স্বাস্থ্যদপ্তরের কোনও অধিকারিক উপস্থিত ছিলেন না।
অন্যদিকে, ওই মিটিংয়ে উপস্থিত থেকে পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধানদের অধিকাংশই গোঘাটে কোভিড হাসপাতালের তীব্র বিরোধিতা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের দাবি, ওই কৃষক বাজারে হাসপাতাল করার কোনওরকম পরিকাঠামো নেই। অব্যবহৃত সরকারি ওই কৃষক বাজারের বিল্ডিংকে কোনওমতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। তাই বলে ওই সেন্টারকে কোনওভাবেই হাসপাতালে পরিণত করা সম্ভব নয়।
এনিয়ে এক পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, আমরা সরকারে থেকে কোনওভাবেই সরকারি কাজে বিরোধিতা করতে পারি না। কিন্তু, তাই বলে হঠাৎ করে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে, ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারকে হাসপাতাল করা হবে, তা মেনে নেওয়া যায় না। তাছাড়া ওখানে হাসপাতাল তৈরি হলে এলাকার মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়াবে। সব মিলিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। যে কারণে আমরা ওইদিন মিটিংয়ে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মতামত জানিয়েছি। এরপরেও যদি সেখানে হাসপাতাল হয় তবে তা আমাদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হবে।
এনিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের অনেকেরই দাবি, করোনা নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত বদল করছে প্রশাসন। আর সেই সিদ্ধান্ত বদলের মাশুল গুনতে হচ্ছে স্বাস্থ্যদপ্তরকে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আরামবাগের ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে আসেন হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। সেই সময় তিনি আরামবাগ শহরের করোনা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। যদিও তিনি নতুন করোনা হাসপাতালের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই বলতে চাননি। জেলাশাসক বলেন, এব্যাপারে এখনও অর্ডার হয়নি। অর্ডারের বিষয়টি পরে জানানো হবে।