বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, জেলায় বাড়ি বাড়ি করোনা নিয়ে সার্ভের কাজ জোরকদমে চলছে। নমুনা পরীক্ষাও ব্যাপক হারে করা হচ্ছে, যাতে কোনওভাবেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ লুকায়িত না থেকে যায়।
সারা রাজ্যের পাশাপাশি করোনা আতঙ্কে কাঁপছে রাজ্যের একেবারে পশ্চিম প্রান্তের শিল্পাঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠা জেলা পশ্চিম বর্ধমান। তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে একে গেটওয়ে অব বেঙ্গলও বলা চলে। কারণ সড়কপথে দু’নম্বর জাতীয় সড়ক(জিটি রোড) দিয়েই হোক বা রেলপথে আসানসোল, দুর্গাপুর স্টেশনে ঢুকছে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। সেখান থেকেই বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাই সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকি থাকা এই জেলায় আক্রান্তদের চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে বড় ভরসা স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভের তথ্য। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাই বার বার বৈঠক করা হয়েছে জেলার আটটি ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক ও নার্স এবং আসানসোল দুর্গাপুর পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে। খোদ জেলাশাসকও নার্সদের সঙ্গে বৈঠক করে উৎসাহ জুগিয়েছেন। যার জেরে ব্যাপক সাফল্য মিলেছে। ইতিমধ্যেই শহর ও গ্রাম মিলে মোট ৭ লক্ষ ১৬ হাজার ৬২৫টি বাড়ির সার্ভের কাজ শেষ হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা যে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে তথ্য নিচ্ছেন তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের নজরে আসা ৩৩২টি করোনা উপসর্গযুক্ত রোগীর ধরা পড়া থেকেই। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিস্তারিত তথ্য নিচ্ছেন তাঁরা। এর ফলে বাইরে থেকে কেউ লুকিয়ে বাড়িতে এলেও সহজেই নজরে পড়ে যাচ্ছে। তবে শুধু একবার করে নয়, জেলাশাসকের দাবি, বেশিরভাগ এলাকায় দু’বার করে বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন এই স্বাস্থ্যকর্মীরা। যাতে নতুন করে কারও উপসর্গ হয়েছে কি না ধরা যায়।
অন্যদিকে, জোর দেওয়া হয়েছে জেলায় করোনা পরীক্ষার উপরও। আগেই জানা গিয়েছিল বাংলা-ঝাড়খণ্ড বর্ডার পেরিয়ে যাঁরাই দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, তামিলনাড়ু থেকে এসেছেন তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ভিন জেলা থেকে এখন যাঁরা পশ্চিম বর্ধমানে থাকার জন্য ফিরছেন, তাঁদেরও নমুনা নেওয়া হচ্ছে। আসানসোলের সারি হাসপাতাল, দুর্গাপুরের মহকুমা হাসপাতাল, আসানসোল জেলা হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। এর পাশাপাশি ব্লকে ব্লকে নমুনা নিয়ে পুলিং টেস্টও হচ্ছে। যাতে কোনওভাবেই করোনা রোগী নজরে বাইরে চলে না যায়। জেলা প্রশাসনের দাবি, এখনও পর্যন্ত ৬ হাজার৬৬২টি নমুনা সংগ্রহ হয়েছে জেলায়।
কোয়ারেন্টাইন নিয়েও বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৯২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৩ হাজার ৯৪১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। মোট ১২৩৬জনকে ইন্সটিটিউশন কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছিল। যদিও এখন সেখানে কেউ নেই। শেল্টার হোমে রাখা হয়েছিল ১ হাজার ৮৩২ জনকে।