পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত সাহা বললেন, দুটি গ্যাস সিলিন্ডার শেষ হয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ডিসেম্বর রান্না বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবারও হয়নি। সরবরাহ হলে শুক্রবার থেকে রান্না হবে। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক এসে দেখে গিয়েছেন। গ্যাসের বিষয়টি আমার হাতে নেই। গ্যাস না এলে আমি কি করব?
স্থানীয় এবং স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে ৬৯ জন পড়ুয়ার জন্য ৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। এদিন দুপুর ১.২০ মিনিটে স্কুলে দেখা যায়, দুটি ক্লাসরুম কার্যত ফাঁকা। খুদেরা বাইরে খেলাধুলো করছে। একজন শিক্ষিকা বাইরে চেয়ার নিয়ে রোদ পোহাচ্ছিলেন। আর ঘরে বসেছিলেন প্রধান শিক্ষক। তাঁকে কোনও ক্লাস নিতে দেখা যায়নি। অন্য একটি ঘরে অবশ্য ক্লাস চলছিল। বাকি ক্লাস কেন হচ্ছে না? স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সবে পরীক্ষা শেষ হল। বছর শেষের সময়। নতুন বছরের পাঠদান শুরু হবে। এই সময়টা এমনই চলে।
মিড ডে মিল রান্না না হওয়ার বিষয় নিয়ে গ্রামের অভিভাবকেরা মুখ খুলতে রাজি হননি। তাদের একাংশ বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা ওই স্কুলে পড়ে। পরে শিক্ষকেরা যদি আমাদের কিছু বলেন, সেজন্য কিছু বলব না।
ওই স্কুলটি পান্ডুয়া সার্কেলে। সার্কেলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অরূপ কুমার দাস বলেন, ২০ জনের কম পড়ুয়া থাকলে নিয়ম অনুযায়ী রান্না হয় না। এদিন ওই স্কুলে ১৩ জনের কম এসেছিল বলে জানতে পেরেছি। আমি ব্লকে খোঁজ নিয়েছি। স্কুলে গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ হয়নি বলে জানতে পেরেছি।
তবে মালদহ ডিপিএসসি চেয়ারম্যান বাসন্তী বর্মন বলেন, ২০ জনের কম পড়ুয়া থাকলে রান্না করতে হবে না, সেটা কখনও বলা নেই। রান্নার নিয়ম আছে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।