কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
দাদাকে এভাবে খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জেলা পুলিসের কর্তারাও নাবালকের এই কাণ্ডে তাজ্জব বনে গিয়েছেন। এমন নৃশংসভাবে একজন নাবালক তাঁর দাদাকে খুন করবে, ভাবতে পারছেন না কেউই। মৃতের মাসতুতো ভাই কৃষ্ণ কেরকেট্টার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস সোমবার সকালে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। আলিপুরদুয়ারের পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন,একদিকে খিদের জ্বালা,অন্যদিকে বেধড়ক মার। এই দুই কারণেই নাবালকের মনের উপর ভয়ঙ্কর চাপ পড়েছিল। সেই চাপ আর নিতে পারেনি সে । প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, ওই কারণেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ছেলেটি। খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।
পুলিস ধৃত নাবালককে সোমবার জলপাইগুড়ি জুভেনাইল আদালতের মাধ্যমে হোমে পাঠায়। জানা গিয়েছে, ওই নাবালকের আরও এক দাদা আছে। তবে ১৬ বছরের ওই নাবালকই সবার ছোট। কয়েক বছর আগে বাবা ও মা মারা যান। তারপর থেকে তাদের আর্থিক অবস্থা খুবই করুণ। তিন ভাইয়েরই খাবার জোটে অন্যের বাড়িতে কাজ করে।
জানা গিয়েছে, রবিবার দাদা বাবুলালেরও কোনও কাজ জোটেনি। ঘরে যেটুকু চাল ছিল সেটুকুই রাতে ফুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই গরম ভাত চাইতেই দাদা ক্ষিপ্ত হয়ে ছোট ভাইকে বেদম মারধর করে। তারপরই দাদাকে পাল্টা শাস্তি দিতে নাবালকটি ওই নৃশংস কাণ্ড ঘটায়। খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য ঘরের পিছনে গর্তও খুঁড়ে ফেলেছিল সে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় দাদার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে মাসতুতো ভাই কৃষ্ণ চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডেকে আনে। অবশেষে শামুকতলা থানা থেকে পুলিস গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার করা হয় নাবালককে।