কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর একাই তুলসীহাটা এলাকায় থাকছিলেন। প্রথম দিকে ফুলনদেবী পাড়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। পরে জোত বহরমপুর এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে সেখানে বাস করতেন। ছোট একটি টিনের ছাউনি দেওয়া ঘরে একাই দেখা যেত তাঁকে। মাঝেমধ্যে বাড়ি যান বলে জানিয়েছিলেন।
তবে স্থানীয়দের দাবি, পরিবারের কাউকে কখনও এখানে আসতে দেখেননি কেউ। বিড়ির ব্যবসার পাশাপাশি চিপস এর প্যাকেট বাংলা ও বিহারে মুদিখানার দোকানে দোকানে সাইকেলে ফেরি করতেন নিমাই। একই সঙ্গে তাঁর সুদের রমরমা কারবার ছিল। কোনও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কম সুদে টাকা নিয়ে চড়া হারে ছোটখাটো ব্যবসায়ী ও মুদির দোকানদারকে দিতেন। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এলাকায় ঘুরে ঘুরে সেই টাকা আবার কিস্তিতে আদায় করতেন নিমাই। এই কারবারের জন্য তাঁর বাড়িতে মানুষের আনাগোনা লেগে থাকত। মাঝেমধ্যে টাকাপয়সা নিয়ে গণ্ডগোল হতো বলেও দাবি স্থানীয়দের। তবে এলাকার মানুষের সঙ্গে বেশি কথা বলতেন না নিমাই।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মকরম আলি বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা মর্নিং ওয়াকে গিয়ে দেখেন রাস্তার ধারে সাইকেল দাঁড় করানো রয়েছে। রাস্তা থেকে ১৫ ফুট দূরে রসুনের জমিতে দেহটি ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে ছিল। মনে হচ্ছিল মুখে অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা পিন্টু দাস বলেন, লোকটি শান্ত স্বভাবের ছিলেন। একাই থাকতেন। মানুষের সঙ্গে বেশি কথা বলতেন না। মূলত বাংলা ও বিহারে ব্যবসা করতেন। এলাকার মানুষ তাঁকে নামে না জানলেও বিড়িওয়ালা বলে চিনতেন। কী করে এই ঘটনা হল, কিছুই বুঝতে পারছি না।
খুনের পর নির্জন জায়গায় কেউ ফেলে দিয়েছে, নাকি এই মৃত্যুর পিছনে সুদের কারবারের কোনও বিষয় লুকিয়ে আছে খতিয়ে দেখছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস। আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।