কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
আয়োজকরা জানান, অগ্রহায়ণ মাসে কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে মঙ্গলবার হয় পুজো। সূর্য ওঠার পর শুরু হয় প্রতিমা তৈরি। সন্ধ্যায় কাহাররা মাথায় করে প্রতিমা নিয়ে যান। হ্যারিকেনের আলোয় পথ দেখিয়ে মথুরাপুরের কাহারপাড়া মন্দিরে নিয়ে আসা হয় প্রতিমা।
পুজো কমিটির সদস্য নেপাল মাহারা বলেন, বহুদিন আগে মথুরাপুরে কলেরা ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয় সেবার। সেই সময় গ্রামে হাজির হন এক সাধু। এই বিপদ থেকে মুক্তি পেতে তিনি বাসিন্দাদের রক্ষাকালীর পুজো করতে বলেন। তখন থেকেই পুজো হয়ে আসছে।
অবসরপ্রাপ্ত পুলিসকর্মী জিতেন বসাক বলেন, বংশ পরম্পরায় আমাদের পরিবার প্রতিবছর প্রতিমা তৈরি করে। বাবার মৃত্যুর পর সেই দায়িত্ব পেয়েছি আমি। সূর্য ওঠার পর গঙ্গায় স্নান করে গঙ্গাপাড়ের মাটি নিয়ে এসে সারাদিন উপোস থেকে প্রতিমা বানাই। বর্তমানে কলকাতার বাসিন্দা হলেও পুজোর সময় ঠিক ছুটে আসেন জীতেনবাবু।
মন্দির চত্বরে জোরকদমে চলছে প্যান্ডেলের কাজ। পুজো কমিটি নজরদারির জন্য প্রায় ২৫টি সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে। প্রচুর পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ারও থাকবেন ভক্তদের নিরাপত্তার জন্য।
স্থানীয় বাসিন্দা সুকান্ত মাহারার কথায়, জাগ্রত দেবী হিসাবে পূজিত হলেও প্রথমে সাধারণ মানুষ ভিড় জমাতেন না। মাত্র জনাবিশেক মানুষ হ্যাজাক জ্বালিয়ে পুজো করতেন। এখন পুজো ঘিরে বিশাল মেলা বসে। প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়।