কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
উল্লেখ্য, মালদহ জেলাজুড়ে ১৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বেগুনের চাষ হয়। ফলন হয় ২ লক্ষ ২৫ হাজার ১৫১ মেট্রিক টন। জেলার গাজোল, রতুয়া ২, পুরাতন মালদহ , চাঁচল ব্লকে সর্বাধিক বেগুন চাষ হয়। এবারে দু’মাস আগে থেকে বেগুন চাষ শুরু হয়েছে। কিন্তু হলুদ রং নিয়ে তাঁরা উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে পুরাতন মালদহে আট মাইলে বেগুন চাষ করেন সঞ্জীব সরকার। তিনি বলেন, বেগুন গাছের পাতা হলুদ। আমার চাষ জীবনে প্রথম দেখলাম। কেন হচ্ছে বুঝতে পারছি না।
এর ফলে বেগুন বেঁকে যাচ্ছে। পুষ্ট হচ্ছে না। আমার ৫ কাঠা জমিতে বেগুন চাষ হচ্ছে। রবিবার বেগুন তুলেছি মাত্র ১ কুইন্টাল। হলুদ গাছে বেগুন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। না হলে তিন কুইন্টাল বেগুন পেতাম।
একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন ওই ব্লকের চাষি উত্তম রাজবংশীও। তাঁর দাবি, আমরা গরিব মানুষ। এমন হলে মুশকিল। উদ্যানপালন দপ্তরের দিশা দেখানো উচিত। উদ্যানপালন দপ্তরের মালদহের উপ অধির্কতা সামন্ত লায়েক বলেন, আমরা কিছুদিন আগে জেলার একাধিক ব্লকে ভিজিট করেছি। সমস্যাটি দেখেছি। এটা শুধু এই জেলার নয়। অন্যান্য জেলাতেও এই সমস্যা হয়েছে। পাতা হলুদ দেখে মনে হচ্ছে অনুখাদ্যের অভাব রয়েছে। আবার এক নতুন ধরনের ভাইরাস হতে পারে। সবই অনুমান। জেলার রিসার্চ টিমকে বলা হয়েছে। রাজ্যের অন্যতম গবেষণা কেন্দ্র বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু পাতা পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট এলে চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হবে।