কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
বর্তমানে মাদারিহাটে বন্ধ রয়েছে ঢেকলাপাড়া, দলমোড়, রামঝোরা ও লংকাপাড়া এই চারটি বাগান। ঢেকলাপাড়া ২০০২ ও লংকাপাড়া ২০১৪ সাল থেকে বন্ধ। অন্যদিকে, এক বছর ধরে বন্ধ দলমোড় ও লংকাপাড়া। উপ নির্বাচনের ফলে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে বন্ধ বাগানের শ্রমিকরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উপরেই আস্থা রেখে তাঁরা ঢেলে ভোট দিয়েছেন। যা ছাব্বিশের বিধানসভার আগে স্বস্তি দিচ্ছে তৃণমূলকে।
বান্দাপানি পঞ্চায়েতের ঢেকলাপাড়া বাগানে ৯ ও ১০ নম্বর বুথ। তৃণমূল ৯ নম্বর বুথে পেয়েছে ৫৩৩ ভোট, বিজেপি পেয়েছে ৯৬ ভোট। ১০ নম্বর বুথে তৃণমূল ৩৫১ এবং বিজেপি পেয়েছে ৮০ ভোট। তেমনি বীরপাড়া-২ পঞ্চায়েতের বন্ধ দলমোড় বাগানে রয়েছে ১৫-১৮ অর্থাৎ চারটি বুথ। তৃণমূল এই চারটি বুথেই লিড পেয়েছে। রামঝোরা বাগানে পড়েছে ৩৪, ৩৫, ৩৬ ও ৩৭ নম্বর বুথ। তৃণমূল চারটি বুথেই যথাক্রমে ৩৪৫, ১৭৮, ৩০৫ এবং ৩৫০ ভোটের লিড পেয়েছে। লংকাপাড়া পঞ্চায়েতের বন্ধ লংকাপাড়া বাগানে রয়েছে ২৫-৩৩ নম্বর অর্থাৎ ন’টি বুথ। তৃণমূল বিজেপিকে পিছনে ফেলে ন’টি বুথেই তিন অঙ্কের লিড পেয়েছে।
উপ নির্বাচনের এই ফলই বলে দিচ্ছে বিজেপির বন্ধ বাগানের ইস্যু ভোটে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বন্ধ বাগানগুলির সমস্ত বুথে লিড পাওয়ায় উৎফুল্ল তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও পরাজিত বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহার বলেন, রাজ্য সরকার চা সুন্দরী এক্সটেনশন প্রকল্পে শ্রমিকদের ঘর তৈরির জন্য লোকসভা ভোটের আগে ৬০ হাজার ও উপ নির্বাচনের আগে বাকি ৪০ হাজার টাকা দিয়েছে। উপ নির্বাচনে তারই ফায়দা তুলেছে তৃণমূল। বন্ধ বা খোলা বাগানে তৃণমূলের লিড পাওয়ার পিছনে আর অন্য কোনও কারণ নেই।
বিজেপিকে কটাক্ষ করে তৃণমূল চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান নকুল সোনার বলেন, শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোনও কাজ করেনি। উল্টোদিকে আমাদের সরকার শ্রমিকদের জন্য একের পর এক জনমুখী প্রকল্প বাস্তবায়িত করে চলেছে। বিজেপির এই ধোঁকাবাজি ধরে ফেলেছেন শ্রমিকরা। তাই উপ নির্বাচনে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন শ্রমিকরা।