শরিকি সম্পত্তি মামলায় ফল অনুকূল হতে পারে। উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণায় উন্নতির যোগ। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
গত লোকসভা ভোটের পরেই বিজেপির শ্রমিক সংগঠন বিটিডব্লুইউ দু’ভাগ হয়ে পড়েছে। একদিকে এমপি মনোজ টিগ্গার গোষ্ঠী, অন্যদিকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলার গোষ্ঠী। বারলা ঘনিষ্ঠ নেতাদের এখনও প্রচারে নামতে দেখা যায়নি। বারলার বিটিডব্লুইউ নেতা তহেফিল সোরেন বলেন, প্রচারের জন্য আমাদের এখনও ডাকা হয়নি। ডাকলে নিশ্চয়ই প্রচারে নামব। মাদারিহাটে দলের শ্রমিক সংগঠনের বর্তমান হাল নিয়ে তিনি বলেন, অধিকাংশ বাগানেই সংগঠন নিষ্ক্রিয়। কোনও কোনও বাগানে তো সংগঠনের ইউনিট কমিটিই নেই।
তহেফিল সোরেনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মাদারিহাটের ধুমচিপাড়া, গ্যারগেন্দা ও হান্টাপাড়া বাগানে সংগঠনের কোনও ইউনিট কমিটি নেই। বীরপাড়া বাগানে নতুন করে সংগঠন মাথাচাড়া দিচ্ছে। নাংডালা, মাকরাপাড়া ও ডিমডিমা চা বাগানে সংগঠন দুর্বল। সিংহানিয়া চা বাগানের বাসিন্দা দলের জেলা সভাপতি এমপি মনোজ টিগ্গা। ফলে এই বাগানে সংগঠন কিছুটা ভালো।
একইভাবে জয় বীরপাড়া, ঢেকলাপাড়া ও বান্দাপানি বাগানেও দুর্বল বিজেপির শ্রমিক সংগঠন। তবে গোপালপুর ও মুজনাই চা বাগানে বিটিডব্লুইউয়ের সংগঠন অনেকটাই ভালো।
অন্যদিকে একুশের ভোটের পর শাসক দল তৃণমূল প্রতিটি বাগানেই ঘর গুছিয়ে নিয়েছে। প্রতিটি বাগানেই জোড়াফুল শিবির শক্তিশালী ইউনিট কমিটি তৈরি করে ফেলেছে। কার্যত বাগানগুলিতে এখন একচেটিয়া দাপট শাসক দল তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠনেরই। বাগানগুলির শ্রমিক লাইনগুলিতে উড়ছে ঘাসফুলের পতাকা।
বিজেপির জেলা সভাপতি এমপি মনোজ টিগ্গা অবশ্য এই দাবি মানতে নারাজ। মনোজবাবু বলেন, প্রতিটি বাগানে আমাদের শ্রমিক সংগঠন বাড়ছে। এটা ঠিক যে গত লোকসভা ভোটের আগে বাগানগুলিতে আমাদের শ্রমিক সংগঠন কিছুটি দুর্বল ছিল। সেই দুর্বলতা আমরা কাটিয়ে উঠেছি। এই দুর্বলতা সত্ত্বেও চব্বিশের লোকসভা ভোটে মাদারিহাট বিধানসভাতে আমাদের দলই লিড পেয়েছে। এই উপ নির্বাচনেও চা শ্রমিকরা আমাদের পাশেই থাকবে।
তৃণমূল চা শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান নকুল সোনার বলেন, বাগানগুলিতে বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের এখন আর কোনও অস্তিত্বই নেই। বাগানে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের স্বাদ পেয়েছেন শ্রমিকরা। তাই উপ নির্বাচনে শ্রমিকরা এবার আমাদের পাশেই থাকবেন। চা বাগানে প্রচারে বিজেপি প্রার্থী। - নিজস্ব চিত্র।