শরিকি সম্পত্তি মামলায় ফল অনুকূল হতে পারে। উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণায় উন্নতির যোগ। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
বীরপাড়ার দিনবাজার দিয়ে উপ নির্বাচনের প্রচার শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী। দলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক প্রচারে নেতৃত্ব দেন। দিনবাজারের প্রতিটি দোকানে গিয়ে ব্যবসায়ী, ক্রেতাদের কাছে ভোটভিক্ষা করতে দেখা যায় প্রার্থীকে। সেখান থেকে বেরিয়ে লঙ্কা রোডের ব্যবসায়ীদের কাছে ভোট চাইতে পৌঁছে যান। তৃণমূল প্রার্থীকে প্রচারে দেখে কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও তাতে শামিল হয়। প্রথম প্রচারে এই ভিড় দেখে দলের ভোট ম্যানেজারদের মুখেও চওড়া হাসি ধরা পড়ে।
প্রচারে কী তুলে ধরছেন প্রার্থী? তাঁর কথায়, ২০১৬ সাল থেকে মাদারিহাটে আমাদের বিধায়ক নেই। তা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার বীরপাড়ায় দমকল কেন্দ্র বানিয়েছে। দু’বারের বিধায়ক থাকার পরেও বিজেপির মনোজ টিগ্গা বীরপাড়ায় ফ্লাইওভার ও দলগাঁও স্টেশন থেকে ডলোমাইট সাইডিং অন্যত্র নিয়ে যেতে পারলেন না। আমরা বলছি, এবার তৃণমূলকে সুযোগ দিন। জয়ী হলে দাবিদাওয়া পূরণ করে দেখিয়ে দেব। প্রথম দিনের প্রচারেই যেভাবে মানুষের সাড়া পেয়েছি, তাতে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।
লঙ্কা রোডে প্রচার সেরে ভরদুপুরে প্রার্থী যান জটেশ্বর রোডে। সেখানে নির্বাচনী অফিসের উদ্বোধনে অংশ নেন। অফিসটির উদ্বোধন করেন দলের জেলা সভাপতি। তৃণমূল সূত্রে খবর, উপ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ভূমিপুত্র ও চা বাগানের ছেলেকে পেয়ে দলের নিচুতলার কর্মী সমর্থকরা খুশি। ঘরের ছেলে প্রার্থী হওয়ায় চা মহল্লাও আনন্দিত। একুশের নির্বাচনে দলের প্রার্থীকে ঘিরে যা ছিল না বলেই মনে করেন তৃণমূল কর্মীরা। একুশের ভোটে দল বহিরাগত প্রার্থী দেওয়ায় মানতে পারেননি স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। ফলত ২০১৬ এর মতো ২০২১ এও মনোজ টিগ্গার কাছে পরাজিত হতে হয় রাজ্যের শাসকদলের প্রার্থীকে।
এদিকে, মাদারিহাট আসনে রাহুল লোহারকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। দু’বারের জয়ী আসন ধরে রাখতে রাহুলই বাজি পদ্ম শিবিরের। একুশের ভোটে জেলার সব আসনে জয় পেয়েছিল বিজেপি। মাদারিহাটে বিজয় কেতন ওড়াতে প্রচারে নেমে পড়েছেন পদ্ম প্রার্থীও। এদিন দিনভর ডিমডিমা বাগানে প্রচার চালান। শ্রমিকদের ঘরে ঘরে প্রচার করেন। পরে বীরপাড়া বাজারে এসে চায়ে পে চর্চায় যোগ দেন বিজেপি প্রার্থী।