শরিকি সম্পত্তি মামলায় ফল অনুকূল হতে পারে। উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণায় উন্নতির যোগ। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
সিপিএমের কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য শুভ্রালোক দাস বলেন, বামেদের প্রার্থী ঘোষণা সবে হয়েছে। বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে। প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য পিয়া রায় চৌধুরী বলেন, প্রদেশ নেতৃত্ব দলের প্রার্থী ঘোষণা করবে। তারপরেই প্রচার শুরু হবে। অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী দীপককুমার রায় বলেন, আমার নামে একাধিক মিথ্যা মামলা রয়েছে। সোমবার সেগুলি থেকে আদালতে জামিন নিলাম। ২৪ তারিখ বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা করব। তারপর থেকে প্রচার শুরু হবে। অন্যদিকে, কোচবিহারের সাংসদ তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায়ের স্বামী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, ভোট ঘোষণার দিন থেকে আমরা প্রচারে নেমেছি। সাধারণ মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। সিতাইতে আমরা রেকর্ড ভোটে জিতব। বিরোধীরা মিটিং-মিছিল করার লোক পাচ্ছে না। সেই কারণে তারা এখনও ময়দানে নামতেই পারল না।
এদিকে, বিজেপি শিবিরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, বুথে এজেন্ট হওয়ার লোক তারা খুঁজে পাচ্ছে না। ফলে ভোটের মুখে বিড়ম্বনায় পড়েছে গেরুয়া শিবির। তাই সব বুথে এজেন্ট দেওয়াই এখন বড় চ্যালেঞ্জ তাদের কাছে। বিরোধী দল বিজেপির এমন অবস্থার কথা পৌঁছেছে শাসকদলের ঘরে। তাই এমপি বলেন, সিতাইতে বিজেপির যেটুকু অস্তিত্ব ছিল লোকসভা ভোটের পর সেটাও আর নেই। তাই ওদের এজেন্ট খুঁজতে কালঘাম ছুটছে।
সিতাই বিধানসভায় ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত। কোচবিহার জেলা নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিতাই বিধানসভা উপ নির্বাচন কেন্দ্রে মোট ৩০০টি বুথ। এজেন্ট খুঁজতে গিয়ে যে সমস্যা হচ্ছে সেকথা স্বীকার করে নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বও। দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, উপ নির্বাচনে সাধারণত শাসকদল বিরোধীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট করানোর চেষ্টা করে। তাই উপ নির্বাচনে লড়াই করা অনেকটাই কঠিন। পাশাপাশি এই আসনে শতাধিক সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বুথ আছে। আমরা দু’শোটি বুথে এজেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করব। তবে লড়াইতে তৃণমূলকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না। সিতাইয়ে তৃণমূলের সভায় মন্ত্রী শশী পাঁজা। - নিজস্ব চিত্র।