নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: আজ, বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিল সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর। আজ থেকে রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। গত কয়েক দিনে উত্তরবঙ্গের আকাশ মেঘলা থাকার কারণে ও কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির জেরে বর্তমানে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ৩০-৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আজ থেকে সেই তাপমাত্রার পারদ ৩৫-৩৬ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বলে জানানো হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে এক-দুই পশলা বৃষ্টিপাত হবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। বাকি এলাকায় আকাশ থাকবে মেঘমুক্ত, ঝলমলে। ফলে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। তবে রবিবারের পর থেকে ফের স্বস্তির আবহাওয়া ফিরবে উত্তরের জেলাগুলিতে। এমনই আশার বাণী শুনিয়েছে সিকিমের আবহাওয়া দপ্তর। 
সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বুধবার বলেন, বৃহস্পতি থেকে রবিবার পর্যন্ত মেঘমুক্ত আকাশ থাকবে। ফলে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। বৃহস্পতি থেকে রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলায় কমপক্ষে ৩-৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। তবে কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হলেও তাপমাত্রার হেরফের খুব একটা হবে না। রবিবার রাত থেকে ফের উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলার আবহাওয়া পরিবর্তন হবে। সোম ও মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দার্জিলিং ও সংলগ্ন সিকিমে লাগাতার ভারী বৃষ্টিপাত হবে। পাশাপাশি সমতল শিলিগুড়ি ও কোচবিহার জেলাতেও সোম ও মঙ্গলবার ভালো মাত্রায় বৃষ্টি হবে। এছাড়াও বুধবার থেকে পরের রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের আকাশ মেঘলা থাকবে। সমস্ত জেলায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। 
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরবঙ্গের আকাশে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করবে। কার্যত রবিবার গভীর রাত থেকেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ওই জলীয় বাষ্প গরম হয়ে বাতাসের উপরিভাগে উঠে ভারী মেঘের সৃষ্টি করবে। ওই মেঘের জেরেই বৃষ্টি শুরু হবে। রবিবার রাতের পর থেকেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করবে। ফলে গরমের হাত থেকে মুক্তি মিলবে উত্তরবাসীর। সোমবার থেকে দিনের ও রাতের তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই পতন ঘটবে। 
রবিবার রাতের থেকে উত্তরবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা সক্রিয় হবে। ওই নিম্নচাপ অক্ষরেখায় বঙ্গোপসাগরের জলীয় বাষ্প প্রবেশের ফলে শক্তিশালী মেঘের সৃষ্টি হয়ে সর্বত্রই বৃষ্টি হবে। তবে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। এদিকে সোমবার থেকে দার্জিলিং ও সংলগ্ন সিকিমে টানা ভারী বর্ষণের খবরে দার্জিলিং ও সিকিমে বেড়াতে গিয়ে পর্যটকদের যাতে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে না হয় তারজন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে দার্জিলিং ও সিমিকের পর্যটন দপ্তর। জিটিএ’র মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক এসপি শর্মা বলেন, আমাদের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা সারা বছরই প্রস্তুত থাকেন। তবে বৃষ্টি বা তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকলে আমরা বাড়তি ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।