গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া থেকে চেউটিয়া গ্রামের দূরত্ব মাত্র কয়েক কিলোমিটার। কর্ণজোড়াতেই জেলা প্রশাসনের সমস্ত কার্যালয় অবস্থিত। কর্ণজোড়া ও চেউটিয়া দুটো এলাকাই রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাবাড়ি-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। বুধবার সকালে চেউটিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের উপর দিয়ে পুরনো জাতীয় সড়ক পক্ষী নিবাসের গা ঘেঁষে যাওয়া কুলিক নদীর বাঁধ এখানে এসে শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রায় একশো মিটারের একটা ফাঁকা জায়গা। এরপর আবার বাঁধ শুরু হয়ে বামুয়া ঘাট পর্যন্ত চলে গিয়েছে। রায়গঞ্জের বিডিও শ্যারন তামাং বলেন, আমরা এই বিষয়টা দেখছি। এদিন চেউটিয়া গ্রামে গিয়ে কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। তাঁদের প্রত্যেকের অভিযোগ, প্রত্যেক বছর বর্ষায় কুলিকের জল এখান দিয়ে গোটা গ্রামে ঢুকে যায়। বহুবার এনিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত ব্লক প্রশাসনকে জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবারেও বর্ষায় বাঁধের এই ফাঁকা জায়গা দিয়ে কুলিকের জল আমাদের গ্রামে ঢুকে যাবে। ফের ভেসে যাবে গোটা গ্রাম। রায়গঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, আমি বিধায়ক থাকাকালীন নিজে কলকাতা গিয়ে বহুবার ওই এলাকার বাঁধ এবং স্লুইস গেট নির্মাণের জন্য সেচ দপ্তরকে চিঠি করেছিলাম। কিন্তু কেউ বিষয়টিকে গুরুত্বই দেয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে এই বাঁধ নির্মাণ করে সরকার। সেই সময় গ্রামের জল বের করার জন্য এখানে স্লুইস গেট তৈরির একটা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ওই নির্দিষ্ট অংশের জমিটি নিয়ে একটা জটিলতা সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই জমির মালিক নাকি সরকারের কাছ থেকে দাম না পাওয়ায় শেষপর্যন্ত জমি দিতে রাজি হননি। যার ফলে ওই নির্দিষ্ট অংশে স্লুইস গেট এবং বাঁধ কোনটাই নির্মাণ হয়নি। নিজস্ব চিত্র