কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
পাট চাষের শুরু থেকেই এবছর বৃষ্টি কম। অনাবৃষ্টির জেরে কিছু জমিতে পাট চারা অঙ্কুরিত হতেই পারেনি। যেসব জমিতে চারা বেরিয়েছে, সেই সমস্ত পাট গাছের বৃদ্ধি তেমন হয়নি। অনাবৃষ্টির জেরে কিছু জমির মাটি ফেটে গিয়েছে। ঘনঘন জলসেচ করে গাছ বাঁচিয়ে রাখতে হচ্ছে কৃষকদের। জলসেচ করতে গিয়ে খরচ সামলাতে তাঁদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে ফসল ঘরে ফিরবে না বলে আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
এবিষয়ে তপনের জামালগাছির বাসিন্দা আফগান আলি মণ্ডল বলেন, বিঘা খানেক জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। বৃষ্টির অভাবে গাছ বের হয়নি। পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন মনে হচ্ছে পুরোটাই নষ্ট হবে। নিশ্চিন্তার কৃষক মকবুল হোসেন সরকার বলেন, বৃষ্টির দেখা নেই। পাটে বিঘা প্রতি একবার জলসেচ করতে প্রায় হাজার টাকা খরচ হয়। এবার দেখছি চাষের খরচ ওঠাই মুশকিল হবে। একই বক্তব্য গাঙ্গিহারের ইউসুফ সরকার ও সুভাষ মাহাতর। তাঁরা বলেন, ইতিমধ্যেই তিন বার জলসেচ করা হয়ে গিয়েছে। এতদিনে পাটগাছ যতটা বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল তার অর্ধেকও বৃদ্ধি পায়নি।
এনিয়ে তপন ব্লক কৃষি আধিকারিক অমিত বিশ্বাস বলেন, সম্প্রতি প্রখর রোদে কিছু পাটগাছ দিনের বেলা নেতিয়ে পড়ত, আবার সন্ধ্যার পর ঠিক হতো। কৃষকদের গ্লুকোজ মেশানো জল স্প্রের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো কিছু এলাকায় কাজও হয়েছে। কিছু জমিতে পাট চারা অঙ্কুরিত হতে পারেনি। তবে যে পাটগাছ এখনও টিকে আছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি হলে সেভাবে প্রভাব পড়বে না। বৃষ্টি না হলে পাট চাষে খারাপ প্রভাব পড়বে।
- নিজস্ব চিত্র।