কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
এবিষয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, এক্সরে বন্ধ নয়, এক্সরে চলছে। তবে প্লেটের অভাব রয়েছে। তাই কিছু ক্ষেত্রে আমরা এক্সরে রিপোর্ট দিচ্ছি। গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার ক্ষেত্রে আমরা প্লেটও দিচ্ছি। প্লেট অর্ডার দেওয়া হয়েছে, কিন্তু আসতে দেরি হচ্ছে। আশা করছি, সোমবারের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে।
বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা এক রোগীর বাবা নয়ন বর্মন বলেন, আমার ছেলের পায়ে আঘাত লেগেছিল। চিকিৎসক এক্সরে করতে বলেছিলেন। এক্সরে করা হয়েছে। কিন্তু প্লেট ছাড়াই রিপোর্ট দিয়েছে।
এবিষয়ে বালুরঘাটের এক শিক্ষক প্রদীপ পাল বলেন, জেলা হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ এক্সরে পরিষেবা। এই এক্সরে পরিষেবা দিতে প্লেট থাকাটা খুব জরুরি। কিন্তু জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন এই প্লেটের জোগান দিতে পারছে না? সাত দিন ধরে এই সমস্যা হলেও সমাধান হচ্ছে না। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সাত দিন ধরে এক্সরে প্লেটের আকাল চলছে। প্লেটের অভাবে এক্সরে পরিষেবা বন্ধ হয়ে পড়েছিল। রোজই বহির্বিভাগ থেকে রোগীরা এসে ফিরে যাচ্ছেন হাসপাতাল থেকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নীচতলায় এক্সরে পরিষেবা দেওয়া হয়। ওই এক্সরে বিভাগে সাত দিন ধরে প্লেটের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে বহির্বিভাগ থেকে আসা রোগীদের এক্সরে হচ্ছে না। শুধুমাত্র জেলা হাসপাতালে ভর্তি থাকা ইমারজেন্সি রোগীদের এক্সরে চলছে। ফলে কয়েকদিন ধরে এক্সরে করতে এসে বহির্বিভাগের রোগীরা ঘুরে যাচ্ছেন। এই খবর শুক্রবার ‘বর্তমান’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপরেই নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাই প্লেট না দিলেও শুধুমাত্র রিপোর্ট দিয়ে এক্সরে পরিষেবা সচল রাখা হয়েছে। ফলে এদিন অনেকেই এক্সরে করান। তবে প্লেট হাতে না পাওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে। এদিকে, হাসপাতালের এক্সরে মেশিন এমনিতেই খারাপ। ওই এক্সরে মেশিন মাঝেমধ্যেই বিকল হয়ে যায়। খুঁড়িয়ে ওই এক্সরে মেশিন চললেও এবারে প্লেটের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে রোগীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে।