শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ
আজ, সোমবার ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বেলা ১২টায় (ভারতীয় সময় রাত ১০টা ৩০ মিনিট) আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প। আমন্ত্রিতদের তালিকায় আছেন টেসলার এলন মাস্ক, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, মেটার সিইও মার্ক জুকেরবার্গ, অ্যাপলের সিইও টিম কুক, টিকটক সিইও শউ যি চেউ সহ বিভিন্ন মার্কিন বহুজাতিক সংস্থার সিইওরা। স্ত্রী নীতাকে সঙ্গে নিয়ে থাকবেন রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানিও। ট্রাম্প পরিবারের ব্যক্তিগত আনন্ত্রণে এখানে এসেছেন আম্বানি দম্পতি। ট্রাম্প পরিবারের সঙ্গে মুকেশ-নীতার সম্পর্ক বেশ ভালো। মুকেশ-পুত্রের বিয়েতে এসেছিলেন ট্রাম্প-কন্যা ইভাঙ্কা। ট্রাম্পের প্রথম দফায় ভারত সফরেও পাশে ছিলেন মুকেশ। এর আগের প্রেসিডেন্ট ভোটে হেরে যাওয়ার পর বাইডেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু বাইডেন জানিয়ে জানিয়েছেন, তিনি আজ উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া উপস্থিত থাকবেন দেশের তিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট—বিল ক্লিন্টন, জর্জ বুশ ও বারাক ওবামা। প্রথা ভেঙে এবার বিভিন্ন রাষ্ট্রের নেতাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন ট্রাম্প। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্টের আনুষ্ঠানিক শপথগ্রহণ আজ, সোমবার হলেও শনিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে তার সূচনাপর্ব। চোখ ধাঁধানো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয় ভার্জিনিয়ায় ট্রাম্প ন্যাশনাল গল্ফ ক্লাবে। যেখান থেকে ওয়াশিংটনের দূরত্ব প্রায় ৩০ মাইল। রবিবার সন্ধ্যায় সপরিবারে ওয়াশিংটনে এসে পৌঁছেছেন ট্রাম্প। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে শহরে আসছেন তাঁর ভক্তরাও। কার্যত উৎসবমুখর জনতার দখলে শহর। প্রবল শৈত্যপ্রবাহের জন্য এবার ক্যাপিটলের সিঁড়ির পরিবর্তে রোটান্ডায় শপথগ্রহণ করবেন ট্রাম্প। সেখানে মাত্র ৬০০ জন থাকতে পারবেন। যদিও অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার টিকিট বিলি হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প ভক্তদের জন্য বিকল্প হিসেবে ক্যাপিটাল ওয়ান স্পোর্টস অ্যারিনায় জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। সেখানে লাইভ সম্প্রচার হবে শপথ অনুষ্ঠান। তবে সেখানেও ২০ হাজারের বেশি মানুষের ঠাঁই হবে না। আর এই খবর জানার পরে হতাশ ট্রাম্প ভক্তরা।
এদিকে, ট্রাম্পের নীতির প্রতিবাদে শনিবার ওয়াশিংটনের রাজপথে বিক্ষোভ দেখান কয়েক হাজার মানুষ। ২০১৭ সালে তাঁর প্রথম ইনিংস শুরুর সময়ও এধরণের বিক্ষোভ হয়েছিল।