সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
ব্রিটেনের ন্যাশনাল লটারির ‘সেট ফর লাইফ’ টিকিট কেটেছিলেন হিতেন্দ্র। টিকিটের পাঁচটা সংখ্যাই যে মিলিয়ে ফেলবেন, স্বপ্নেও ভাবেননি ওয়েম্বলি এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ী। তিনি জানান, মহামারীর এই কঠিন সময়ে ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখার দিকেই তাঁর যাবতীয় মনোযোগ ছিল। লটারির টিকিটের ব্যাপারে খেয়ালই ছিল না। হিতেন্দ্র বলেন, ‘আমি প্রায়শই ন্যাশনাল লটারির টিকিট কেটে থাকি। কখনও আবার একদম শেষ মুহূর্তে গিয়ে টিকিট কিনেছি। কিন্তু, ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে মাঝেমধ্যেই টিকিটের নম্বর মিলিয়ে দেখার কথা মনে থাকে না। তারপর যখন ই-মেলে আমাকে লটারি কোম্পানির তরফে ধন্যবাদ জানানো হয়, তখনও ভাবিনি এত বড় অঙ্কের টাকা জিতেছি। ভেবেছিলাম সামান্য কিছু জিতেছি, যা পরবর্তী সময়ে টিকিট কাটতে আমার কাজে লাগবে।’
শেষমেষ ন্যাশনাল লটারির ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতেই ভুল ভাঙে হিতেন্দ্রর। সঙ্গে সঙ্গে এই সুখবর স্ত্রী পুণমবেন এবং মাকে জানান তিনি। আদ্যোপান্ত পারিবারিক মানুষ হিতেন্দ্র জানান, স্ত্রী এবং মা-ই তাঁর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু’জন মানুষ। তাই নিজে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হওয়ার পরই তাঁদেরকে খবরটা দেন তিনি। পুরস্কার জেতার খবর শুনে দু’জনেই খুব খুশি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন হিতেন্দ্র। পুরস্কারমূল্যের কিছুটা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে সাহায্যের জন্য ব্যয় করতে এবং কিছুটা ওয়েম্বলি এলাকার একটি মন্দিরে দান করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। ‘সেট ফর লাইফ’ লটারিতে সর্বোচ্চ পুরস্কারপ্রাপককে ৩০ বছর ধরে প্রতি মাসে ১০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড দেওয়া হয়। কিন্তু এর জন্য পাঁচটি সংখ্যার পাশাপাশি আরও একটি অতিরিক্ত সংখ্যাও (লাইফ বল) মেলাতে হয়। আর শুধু পাঁচটা সংখ্যা মেলাতে পারলে ওই ১০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড এক বছর ধরে দেওয়া হয় বিজয়ীকে।