কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
নির্যাতনের প্রতিবাদে বাংলাদেশের দিকে দিকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হিন্দুরা। বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট-এর ব্যানারে সম্প্রতি চট্টগ্রাম ও রংপুর সহ বিভিন্ন শহরে বিশাল জমায়েত সংগঠিত হয়েছে। এই সংগঠনের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। তিনি ইসকনের অন্যতম সংগঠক ও পুণ্ডারীক ধামের অধ্যক্ষ। জানা গিয়েছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ফেরার পথে শাহজালাল বিমানবন্দরে কয়েকজন গোয়েন্দা পুলিস পরিচয় দিয়ে চিন্ময়কৃষ্ণকে ‘তুলে নিয়ে যায়’। সেই খবর ছবি সহ নিজেদের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয় পুণ্ডারীক ধামের তরফে। যার জেরে হইচই পড়ে যায় বিভিন্ন মহলে। প্রথমে পুলিস-প্রশাসন এনিয়ে কোনও মন্তব্য না করায় বাড়ে রহস্য ও উদ্বেগ। পরে চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করে নেয় গোয়েন্দা পুলিস। ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিসের একটি অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা আবেদন করেছে, তাদের কাছে চিন্ময়কৃষ্ণকে হস্তান্তর করা হবে।’ তবে চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারির কারণ সম্পর্কে কিছু জানাননি ওই পুলিসকর্তা।
ইসকন সংগঠকের গ্রেপ্তারি খবরে বিভিন্ন মহল থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান মুখপাত্র রাধারমণ দাস বলেন, ‘তাঁকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে আমরা জানি না। গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি নির্দিষ্ট স্থানে জানাব।’
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দু’জনকে। সেই ঘটনার সঙ্গে এদিনের গ্রেপ্তারির যোগ থাকার আশঙ্কা করছেন অনেকে।
গোটা ঘটনার নিন্দা করে চিন্ময়কৃষ্ণের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। ‘এই গ্রেপ্তারের ফলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রশ্নে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে’ বলে সংঠনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।