কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন ইউনাইটেড ডক্টর্স ফ্রন্ট (ইউডিএফ) সূত্রের খবর, নিট পিজিতে প্রথম দেড় হাজারের মধ্যে থাকা চিকিৎসক পড়ুয়াদের ইএনটি বা নাক-কান-গলার বিশেষজ্ঞ হওয়ার আগ্রহ কম। তারপরেই রয়েছে অপথালমোলজি বা আই সার্জন বা চোখের ডাক্তারিতে ভর্তির ইচ্ছা। অর্থোপেডিকস, গাইনেকোলজি এবং জেনারেল সার্জারিতে ভর্তির আগ্রহও তলানিতে। সব মিলিয়ে প্রথম দেড় হাজারের মধ্যে মাত্র ১৪.২৬ শতাংশ চাইছেন ভবিষ্যতে অস্ত্রোপচার করতে! তবে রমরমা ‘বাজার’ নন-সার্জারি শাখাগুলির বা ‘এমডি’ আসনের। সেরাদের ৮৫ শতাংশকেই টানছে তারা। মেধাবী চিকিৎসক পড়ুয়া টানতে শীর্ষে রয়েছে জেনারেল মেডিসিন। প্রথম রাউন্ডের শেষে এই শাখায় ভর্তিতে আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। তারপরই আগ্রহ বেশি রেডিওলজিতে। তারপর আসছে ডার্মাটোলজি বা চর্মরোগ, শিশু চিকিৎসা বা পেডিয়াট্রিকস এবং সাইকিয়াট্রি বা মনোরোগ। কেন এই অবস্থা? ইউডিএফ-এর সর্বভারতীয় সভাপতি ডাঃ লক্ষ্য মিত্তল বলেন, ‘কেন ঝুট-ঝামেলায় ছেলেমেয়েরা যাবে বলুন তো? মানবদেহ তো রোবট নয়। সার্জনের দোষ না থাকলেও বিভিন্ন রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া হতেই পারে। মানুষ তা বুঝবে না। তারা ডাক্তারের ঘাড়েই যাবতীয় দায় চাপতে চায়। বড়সড় ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা হয়। তাহলে কেন সার্জারি পড়ায় আগ্রহ থাকবে?’
বিশিষ্ট সার্জন ডাঃ কৃষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘গত চার-পাঁচ বছর ধরে ভারত এবং চীনে এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। শুধু মার বা মামলার ভয় নয়, সার্জারি শাখায় প্রতিষ্ঠিত হতেও সময় লাগে। রোগীর বাড়ির লোকজনের প্রতি অনুরোধ, শুধু চিকিৎসকদেরই জনসংযোগে ভালো হওয়ার দাবি করবেন না। আপনাদের আরও মনোযোগী এবং আন্তরিক হতে হবে।’ বিশিষ্ট অর্থোপেডিক সার্জন ডাঃ আনন্দকিশোর পাল বলেন, ‘ঠিকই, কেউ আসতে চাইছে না সার্জারিতে। সঙ্গে আবার এআই এবং রোবট এসে গিয়েছে। কঠিন পরিস্থিতি!’