শরিকি সম্পত্তি মামলায় ফল অনুকূল হতে পারে। উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণায় উন্নতির যোগ। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী উত্তরপ্রদেশ সরকার যে নির্দেশিকা জারি করে, সেটিকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল জামিয়াত উলামা-ই-হিন্দ। তারা দাবি করে, এই প্রস্তাবে ফলে সংখ্যালঘুদের নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এদিন আদালত জানিয়েছে, জামিয়াত চাইলে উত্তরপ্রদেশ ও ত্রিপুরা ছাড়া অন্য রাজ্যকেও এই মামলায় পক্ষ করতে পারে।
উত্তরপ্রদেশের ২০০৪ সালের মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ ও ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের পরিপন্থী অ্যাখ্যা দিয়ে বাতিল করে দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এর ফলে ওই রাজ্যের ১৭ লক্ষ মাদ্রাসা পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ ঘিরে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়। তবে সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান বক্তব্য পেশ করতে বলে। সেই মামলায় এনসিপিসিআর শীর্ষ আদালতে জানায়, শিশুদের ‘উপযুক্ত শিক্ষা’ প্রদানের ক্ষেত্রে মাদ্রাসাগুলি ‘অনুপযুক্ত’ স্থান। মাদ্রাসাগুলিতে যে ধরনের পড়াশোনা হয়, তাকে ‘সর্বাঙ্গীন শিক্ষা’ বলা যায় না। এই ব্যবস্থা ২০০৯ সালের শিক্ষার অধিকার আইনের ধারাগুলির পরিপন্থী। কমিশন জানায়, প্রতিষ্ঠানিক স্কুল ব্যবস্থার বাইরে থাকা শিশুরা বাস্তবে বুনিয়াদি শিক্ষা পাওয়ার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। তারা বঞ্চিত মিড ডে মিল বা ইউনিফর্ম পাওয়ার মতো অধিকার থেকেও। এনসিপিসিআর আরও জানায়, মাদ্রাসায় গুণমানসম্পন্ন পাঠক্রমের অভাব রয়েছে। সেখানকার কর্মপদ্ধতি একপেশে। মাদ্রাসায় যে পড়াশোনা হয় তা সন্তোষজনক নয়। মাদ্রাসা ব্যবস্থার কাজকর্ম সাংবিধানিক প্রতিবিধান, শিক্ষার অধিকার আইন এবং ২০১৫ সালের জুভেনাইল জাস্টিস আইনের পরিপন্থী।