শরিকি সম্পত্তি মামলায় ফল অনুকূল হতে পারে। উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণায় উন্নতির যোগ। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
এপ্রসঙ্গে জয়শঙ্কর আরও বলেছেন, ‘এর ফলে আমরা ২০২০ সালের আগের পরিস্থিতিতে ফিরে গিয়েছি। চীনের সঙ্গে সেনা সরানো সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে।’ অর্থাৎ আগের মতোই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এলাকায় চলবে দুই দেশের সেনার টহলদারি। আজ, মঙ্গলবার ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়া সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্টের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই বৈঠকের আগে দু’দেশের এই রফাসূত্রে পৌঁছনোর ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর সফর সংক্রান্ত সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সচিব মিস্ত্রি জানান, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে দু’দেশের মধ্যে সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে বৈঠক চলছিল। আর এই আলোচনায় টহলদারি নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে। ফলে সেনা অপসারণ ও ২০২০ সালে এই সব এলাকায় যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, সেগুলির নিষ্পত্তির পথ প্রশ্বস্ত হবে। তবে এই সমঝোতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাননি তিনি। পূর্ব লাদাখে টহলদারি নিয়ে তীব্র মতবিরোধের ফলে ২০২০ সালের জুন মাসে গালওয়ানে ভারত ও চীনের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। শহিদ হন ভারতের ২০ জওয়ান। বেজিং অবশ্য নিজেদের সেনার হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি। সেই থেকে সীমান্তে টানাপোড়েন চলছে। দু’দেশের সমন্বয় সংক্রান্ত ওয়ার্কিং মেকানিজমের শেষ বৈঠক হয়েছিল বেজিংয়ে, গত ২৯ আগস্ট। সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে খোলামেলা, গঠনমূলক আলোচনা হয় বলে খবর। সেখানেই বরফ গলার ইঙ্গিত মেলে। চলতি মাসের গোড়ায় সেনা প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী জানিয়েছিলেন, দু’পক্ষের মধ্যে ছোটখাটো বিষয়গুলির নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে। এখন জটিল বিষয়গুলি সমাধানের প্রয়োজন। এব্যাপারে আলোচনায় ইতিবাচক ইঙ্গিতই মিলছে।