উচ্চশিক্ষার জন্য নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রচেষ্টা সফল হতে পারে। ব্যবসায় উন্নতির নতুন পথের দিশা। ... বিশদ
গত কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রত্যেক নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকের পর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন—সামগ্রিকভাবে মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে না আসার প্রধান কারণ খাদ্যপণ্যের চড়া দাম। বর্ষা থেকে শীত। শীত থেকে গ্রীষ্ম। আবার বর্ষা আসতে চলল। কিন্তু আম জনতার সংসার খরচ কমল না। খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণেও এল না। গত সপ্তাহে সর্বশেষ নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকেও সবথেকে বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে খাদ্যমূল্য নিয়ে। বৈঠকের পর যথারীতি রেপো রেট অপরিবর্তিত। কারণ মূল্যবৃদ্ধির হার কাঙ্ক্ষিত হারে কমছে না। আর রেপো রেট যতদিন না কমবে, ব্যাঙ্ক ঋণের ইএমআইতে চড়া সুদ গুনে যেতে হবে মধ্যবিত্তকে। এরইমধ্যে দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক এসবিআই সুদের হার বাড়িয়েছে ১০ বেসিস পয়েন্ট। ফলে আজ, ১৫ জুন থেকে নতুন হার কার্যকর হবে। ফলে বাড়বে ইএমআই। ভোটের আগে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কোনও উদ্বেগ অথবা ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস শোনা যায়নি। আর ভোটের ফলপ্রকাশের পর? এনডিএ সরকারের আচরণ সেই একই। শুক্রবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান যেখানে স্পষ্ট বলছে, খাদ্যপণ্যের দামই সবথেকে বেশি হারে বাড়ছে, সেখানে সরকার পক্ষ নীরব।
পাইকারি খাদ্যসূচক এক মাসে ২ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার থেকেও বিপজ্জনক পরিসংখ্যান গত এক বছরের। দেখা যাচ্ছে, এক বছরের মধ্যে আম জনতার নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা সাধারণ পণ্যগুলি সব সীমা ছাপিয়ে গিয়েছে। ডালের সূচকবৃদ্ধির হার মে মাসে হয়েছে ২২ শতাংশ, সব্জির মূল্যবৃদ্ধির হার ৩২ শতাংশ, আলু ৬৪ শতাংশ, পেঁয়াজের ৫৮ শতাংশ, আর ফলের মূল্যবৃদ্ধির হার ৫.৮১ শতাংশ। আরও একটি খাদ্যপণ্য নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন—আটা। ইতিমধ্যেই আটার দাম ২ শতাংশ বেড়েছে। এবং আগামী দিন হতে চলেছে আরও সঙ্কটজনক। কারণ হল, গমের মজুত কমে গিয়েছে। ১৬ বছরের মধ্যে সরকারি ভাণ্ডারে গমের স্টক সর্বনিম্ন। এমনকী গম আমদানিও করতে হতে পারে।
খাদ্যপণ্যের দাম কতটা বেড়েছে, তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ কী? ক্রিসিলের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাধারণ খাবার দোকানে ভেজ থালির দাম গত এক বছরে বেড়ে গিয়েছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। কিন্তু ভারতের আম জনতার মাথাপিছু আয়? সেই তিমিরেই।