গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
অনন্তনাগ হোক বা পুঞ্চের কোনও গ্রাম। কিংবা রাজৌরি জেলা। অতীত হাতড়ে মানুষের মন ছুঁয়ে ফেলছেন ইলতিজা। প্রায় তিন দশক আগে এরকম আরও এক সন্ধিক্ষণ দেখেছিল উপত্যকা। কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়ে পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি) গড়া মুফতি মহম্মদ সইদের পাশে ঠিকই একইভাবে এসে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর কন্যা মেহবুবা মুফতি। আজ আরও এক সন্ধিক্ষণ। মেহবুবার হয়ে প্রচারে প্রাণপাত করছেন তাঁর মেয়ে ইলতিজা।
এবার অনন্তনাগ-রাজৌরি লোকসভা আসন থেকে লড়ছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। মূল লড়াই ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) মিয়াঁ আলতাফ ও আপনি পার্টির জাফর ইকবাল মানহাসের সঙ্গে। অনন্তনাগ একটা সময় পিডিপির খাসতালুক বলেই পরিচিত ছিল। সীমানা পুনর্বিন্যাসের ফলে জম্মুর পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলার বড় অংশ ঢুকে পড়েছে। নামও বদলে হয়েছে অনন্তনাগ-রাজৌরি। বিজেপি প্রার্থী না দিলেও তলায় তলায় আপনি পার্টির জাফর ইকবাল মানহাসকে সমর্থন করছে। ফলে নতুন চেহারার এই আসনে জীবনের সবচেয়ে কঠিন রাজনৈতিক লড়াইয়ে মেহবুবা। ভোটগ্রহণ ২৫ মে। আর এই কঠিন সময়েই মেহবুবার হয়ে পুরোপুরি লড়াইয়ের ব্যাটন হাতে তুলে নিয়েছেন ইলতিজা। বলছেন, আমাদের পরিবারের ভাবমূর্তি শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চেষ্টা চলছে আমার মায়ের রাজনৈতিক জীবন পুরোপুরি শেষ করে দেওয়ার। বিভিন্ন সভায় ইলতিজার ভাষণে মূলত প্রতিফলিত হচ্ছে পিডিপির মূল এজেন্ডাগুলিই। একদিকে কাশ্মীরি মানুষের পরিচিতি ও মর্যাদা রক্ষার ইস্যু। অন্যদিকে উঠে আসছে বেকারি, মুদ্রাস্ফীতি, বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধির মতো নিত্যদিনের সমস্যার বিষয়গুলি। কেন্দ্রকে তোপ দেগে বলছেন, ‘ওরা কেরোসিনের ভর্তুকি তুলে নিয়েছে, রেশন কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তারও আগে আমাদের মাথা উঁচু করে বাঁচার লড়াইটা লড়তে হবে। আপনাদের অধিকারের লড়াই লড়ছেন মেহবুবাজি।’ ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদাহরণ টেনে বলছেন, ‘সবচেয়ে বাস্তবসম্মত সমাধান হল দুই কাশ্মীরের ‘আত্ম-শাসন’। তবে ওদের কাছে (বিজেপি) সবই তো দেশ বিরোধী।’ প্রতিটি ভাষণের পিছনে থাকছে হোমওয়ার্ক। গুজ্জর অধু্যষিত এলাকাগুলিতে গোজরিতে ভাষণ শুরু করছেন। পাহাড়ি জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায় শুরু করছেন তাঁদের ভাষাতেই। আবার দুরুর মতো কংগ্রেস প্রভাবিত এলাকার গ্রামগুলিতে মুফতি মহম্মদ সউদের দীর্ঘ কংগ্রেস সংসর্গের কথা তুলে ধরছেন। সেইসঙ্গেই ইলতিজার মাথায় থাকছে মহিলা ভোটের কথা। মহিলাদের উদ্দেশে বলছেন, ‘অন্য দলগুলির নেতারা নামেই পুরুষ। কিন্তু সাহস যদি কারও থেকে থাকে, তাহলে তিনি একমাত্র মেহবুবাজি।’