কর্মস্থলে জটিল কর্মে সাফল্য ও সুনাম। অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় বাড়বে। ... বিশদ
আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই জামিনকে আর পাঁচটা সাধারণ রায় হিসেবে দেখতে চাননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, অনেকেই মনে করছেন এভাবে কেজরিওয়ালকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন আদালতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাম না করেই ওই মন্তব্য উল্লেখ করেন কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। এব্যাপারে বিচারপতিরা জানিয়েছেন, ‘রায়ের চুলচেরা বিশ্লেষণকে স্বাগত জানাই।’
অন্যদিকে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে জামিনের শর্তভঙ্গের যে অভিযোগ ইডি করেছে, তা এদিন খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তর বেঞ্চ। ইডি এদিন সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট মামলায় শীঘ্রই তারা কেজরিওয়াল ও আপের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল এস ভি রাজু আদালতে জানিয়েছেন, খুব দ্রুত এই চার্জশিট জমা পড়বে।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডি গত ২১ মার্চ গ্রেপ্তার করেছে কেজরিওয়ালকে। ১০ মে সুপ্রিম কোর্ট ১ জুন পর্যন্ত কেজরিওয়ালের জামিন মঞ্জুর করেছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ২ জুন তাঁকে তিহার জেলে ফিরে যেতে হবে। এদিন ইডির তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করেন, ‘কেজরিওয়াল নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বলেছেন, মানুষ আপকে ভোট দিলে তাঁকে আর জেলে ফিরে যেতে হবে না। এই মাধ্যমে তিনি কী বোঝাতে চাইছেন? এমন মন্তব্য তো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে চপেটাঘাতের সমান!’ এর জবাবে বেঞ্চ জানায়, ‘এটা তাঁর অনুমান। এই বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারি না। কিন্তু, কখন তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে হবে, সে বিষয়ে আমাদের নির্দেশ অত্যন্ত স্পষ্ট। এটা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। আইন মেনেই এই আদেশ কার্যকর হবে। কিন্তু, জামিনে থাকাকালীন তিনি মামলার বিষয়ে কোনও কথা বলতে পারবেন না, আদেশে আমরা সেরকম কিছু বলিনি।’ যদিও, কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি ইডির এই দাবি অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, কেজরিওয়াল এমন কোনও মন্তব্য করেননি। প্রয়োজনে এই বিষয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিতে প্রস্তুত।