সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের পক্ষ থেকে পাল্টা সাফাই দিয়ে বলা হয়েছে, এই অভিযোগ অসত্য। সম্পূর্ণ নিয়ম নীতি মেনেই জমির হাতবদল হয়েছে। কিন্তু যে রাম জন্মভূমি ইস্যু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের উত্থানের অন্যতম কারণ, সেই মন্দির অবশেষে যখন তৈরি হচ্ছে, তখন এরকম আর্থিক অনিয়মের বিতর্ক ওঠায় বিজেপি প্রবল অস্বস্তিতে। আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট। তার আগে এরকম একটি অস্বস্তিকর ইস্যু নির্বাচনী প্রচারে চলে এলে জটিলতা বাড়বে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই বিতর্কের অবসান চাইছে বিজেপি।
এসবের মধ্যেই রাজস্থানেও বিজেপির দলীয় কলহ হঠাৎ প্রকট হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার শিবিরের সঙ্গে দলের বর্তমান নেতৃত্বের দূরত্ব আগেই ছিল। কিন্তু বেশ কিছুদিন বসুন্ধরা রাজে দলের কোনও কর্মসূচিতে আসছেন না। দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি ও ২০২৩ সালের নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজির প্রস্তুতিপর্ব নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্র হয়েছে। কংগ্রেসের অশোক মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও শচীন পাইলটের মধ্যে কোন্দলকে কাজে লাগাতে তৎপর বিজেপি। কিন্তু তা করতে গিয়ে যে গেরুয়া শিবিরে ফাটল বাড়ছে, সেটা উপলব্ধি করেই সমস্যায় পড়েছে তারা।
আবার আচমকা ত্রিপুরাও সংবাদের শিরোনামে চলে এসেছে। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা ত্রিপুরা বিজেপিতে ফাটল ধারাতে তৎপর হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বেশ কিছু বিজেপি বিধায়কের সঙ্গেই তৃণমূলের যোগাযোগ হয়েছে। এই বিজেপি বিধায়করা আগে থেকেই বিদ্রোহের আভাস দিয়েছেন। মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করার পর আবার ত্রিপুরা নিয়ে তৎপর হয়েছে তৃণমূল। সত্যিই ত্রিপুরায় সমস্যা আছে কি না জানতে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য শাখার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। যদিও ত্রিপুরা তৃণমূল জানিয়েছে, সবটাই জল্পনা। বিজেপির কোনও বিপদ নেই এই রাজ্যে। কিন্তু সব মিলিয়ে রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির একের পর এক সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।