কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর বাংলাদেশে মৌলবাদী সংগঠনের উস্কানিতে ভারত-বিরোধী মিছিল, মিটিংয়ের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। একাধিক উগ্রপন্থী সংগঠন বাংলাদেশস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টাও করে। যদিও বাংলাদেশের পুলিস তাদের হাইকমিশন অফিসের অনেক আগেই আটকে দেয়। এরপর ওই সংগঠনের সদস্যরা এক ধর্মীয় স্থানের সামনে বড় জমায়েত করে সভাও করে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সভা থেকে ভারত-বিরোধী উস্কানিমূলক স্লোগান ও বক্তব্য রাখা হয়। ওই বক্তব্যের অডিও ক্লিপিংস গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ ভারত দখল করবে। ভারত আবার খণ্ডিত হবে।
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, এইসব পাক মদতপুষ্ট কট্টর মৌলবাদী সংগঠন কাশ্মীর ইস্যুতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে ভারত-বিরোধী জনমত তৈরির চেষ্টা করছে। কাশ্মীরের জন্য পাকিস্তান লড়াইয়ে নামলে তাদের পাশে থাকার জন্যও ‘ভারতের বন্ধু’দেশ বলে পরিচিত বাংলাদেশে প্রচার চালাচ্ছে জেএমবি ও তাদের আড়ালে থাকা সংগঠনগুলি। এইসব উগ্রবাদী সংস্থা বিভিন্ন নামে এখনও কার্যত জেএমবি’র গণসংগঠন হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও এই ইস্যুতে বাংলাদেশের সরকার ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের ডিজি বেনজির আহমেদ চলতি সপ্তাহে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যদিও তাতে তেমন কোনও লাভ হয়নি বলে গোয়েন্দাদের দাবি।
শুধু প্রকাশ্য মিটিং নয় বাংলাদেশে থাকা পাকিস্তানি আইএসআই চরদের সঙ্গে নব্য জেএমবির গোপন বৈঠক হয়েছে বলে গোয়েন্দারা সূত্র মারফত জানতে পেরেছেন। তাতে ভারত বিরোধী নানা চক্রান্তের পাশাপাশি কাশ্মীর ইস্যুতে জঙ্গি কার্যকলাপ আরও তীব্র করার ডাক দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, নিউটাউনে ধৃত বাংলাদেশি শাহিনুরের সঙ্গে ভারত-বিরোধী বিক্ষোভে নামা সংগঠনগুলির যোগ রয়েছে কি না, পুলিস তা খতিয়ে দেখছে।