কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এবং ৩৭০ নং ধারা অবলুপ্তির পর এই প্রথম সেনাপ্রধান দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং পাকিস্তান সম্পর্কে মুখ খুলেছেন আজ। তিনি কাশ্মীর প্রসঙ্গে বলেছেন, ধীরে ধীরে কাশ্মীরের স্বাভাবিকতা ফিরছে। সবথেকে বড় ইতিবাচক বিষয় হল এখনও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনাই ঘটেনি কাশ্মীরে। ৩৭০ নং ধারার অবলুপ্তির পর কাশ্মীরে সেনা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন কোনও তিক্ততা হবে না বলেই মনে করেন সেনাপ্রধান। রাওয়াত বলেছেন, এতদিন যেভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সেনা সর্বদাই চেষ্টা করেছে সৌহার্দ্য বজায় রাখতে সেই চেষ্টা চলবে। তবে এটা ঠিক আজ পর্যন্ত কখনওই সেনা ও সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে সম্পর্ক কখনও অত্যন্ত স্বাভাবিক এরকম নয়। এমনকী যখন পরিস্থিতি এতটা উত্তেজনাকর ছিল না তখনও সেনা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা দূরত্ব ছিলই। তবে সেই পরিস্থিতি পরবর্তীকালে অনেক কেটেছে বলে মনে করেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, আস্থাবর্ধক ব্যবস্থার মাধ্যমে এখন সেনা সম্পর্কে একটা ইতিবাচক ধারণাও আছে। তাই আগেও যেমন সাধারণ মানুষের সঙ্গে য়িণম করে.সেনা দেখা করবে, আলোচনা করবে বন্দুক হাতে না নিয়ে। সেই প্রক্রিয়া চলবে। সেনাপ্রধান আজ যেভাবে নিয়ন্ত্রণরেখা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তা থেকে স্পষ্ট কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান খুব বেশি উচ্চকিত আচরণ করলেও ভারত সংযত আর নিয়ন্ত্রিত মনোভাব দেখাবে। যাতে কোনওভাবেই আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তান কাশ্মীরকে নিয়ে যেতে না পারে সেটাই হবে ভারতের কৌশল। কিন্তু পাকিস্তানের আগ্রাসী মনোভাবের পালটা হুঁশিয়ারি দিলে আন্তর্জাতিক মহলও প্রতিক্রিয়া দিতে বাধ্য হবে। পাকিস্তান সেটাই চাইছে। ভারত এই কারণেই অনেক সংযত থাকবে এখন। যদিও সীমান্তে এবং নৌপথে ভারত সেনা মোতায়েন বাড়াচ্ছে।. কারণ পাকিস্তান কোনওভাবেই যাতে ভারতকে অপ্রস্তুত না ভাবে সেই বার্তা দিতে।