শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
কমিশনের এই সিদ্ধান্তে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে মোদি সরকার। কারণ দু’হেক্টর পর্যন্ত জমির মালিককে বছরে ছ’ হাজার টাকা দেওয়ার এই পিএম-কিষাণ প্রকল্প বিজেপি সরকারের এবার ভোট প্রচারের অন্যতম ইস্যু। তাই ভোট ঘোষণার ফলে সদ্য শুরু হওয়া এই প্রকল্প চালু রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে চিন্তায় ছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রক এ ব্যাপারে কমিশনের মত জানতে চেয়েছিল। কমিশন ছাড়পত্র দেওয়ায় এখনও পর্যন্ত নথিভুক্ত দু’ কোটি ৮৬ লক্ষ গরিব জমির মালিককে টাকা দিতে পারবে কেন্দ্র। এই প্রকল্পে সারা বছরে তিন বার দু’হাজার টাকা করে মোট ছ’ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
গোটা দেশের কমবেশি ১২ কোটি গরিব কৃষি জমির মালিককে চার মাস অন্তর দু’ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। তার জন্য কেন্দ্র ৭৫ হাজার কোটি টাকা খরচ বেঁধে রেখেছে। মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০১৯ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যাদের নামে রাজ্যের ল্যান্ড রেকর্ডে দু’হেক্টর পর্যন্ত কৃষিজমি রয়েছে, প্রাথমিকভাবে তারাই পিএম-কিষাণ প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য।
তবে দু’হেক্টর কৃষি জমি থাকলেই এই প্রকল্পের সুবিধা মিলবে, তা নয়। পরিবারের কেউ আয়কর জমা করলে তারা প্রকল্পের সুবিধা পাবে না। গ্রুপ ডি কর্মী ছাড়া কোনও সরকারি (রাজ্য এবং কেন্দ্র) কর্মচারীর এই সুবিধা মিলবে না। যারা মাসে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি অবসরভাতা পান, তারাও বাদ। বর্তমান এবং প্রাক্তন বিধায়ক, এমপি, মন্ত্রী, মেয়র, জেলা পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন সহ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, চাটার্ড অ্যাকাউনটেন্ট, আর্কিটেক্টের নামেও যদি দু’হেক্টর কৃষি জমি থাকে, তারাও পিএম-কিষাণ প্রকল্পের কোনও সুবিধা পাবে না।