কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। অযোধ্যা থেকে গুজরাতে ফেরার সময় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ৫৯ জন করসেবক। তারপরই গোষ্ঠী সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে দেশের পশ্চিম প্রান্তের ওই রাজ্যে। তখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সবরমতী এক্সপ্রেসে সেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়েই তৈরি হয়েছে হিন্দি সিনেমা ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’। চেনা-অচেনা ইতিহাসকে একটু আঙ্গিকে পরিবেশন। সল্টলেক সিটি সেন্টারে বিকেল ৪টেয় ছিল শো-টাইম। তার আগে দু’টি বাসে চেপে বিধানসভা থেকে সিটি সেন্টারে আসেন বিধায়করা। ছিলেন বিরোধী দলনেতাও। তিনি অবশ্য নিজের গাড়িতে এসেছিলেন। মোট ৪৭ জন বিধায়ক আইনক্সে ঢোকেন। আড়াই ঘণ্টার সিনেমা দেখে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর বেরিয়ে আসেন তাঁরা। বেরিয়ে ‘ভারত মাতা কী, জয়’ বলে স্লোগানও দেন।
সিতাই, মাদারিহাট, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর ও তালডাংরা। একসঙ্গে ছ’টি বিধানসভার উপ নির্বাচন। দুর্নীতির অভিযোগ, আইন-শৃঙ্খলা, আর জি কর... রাজনীতির রসদ কম ছিল না। তারপরও অবশ্য বাম-রাম দু’পক্ষই ধরাশায়ী হয়েছে বাংলায়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, জামানত ধরে রাখাই দায়। আন্দোলনকে সামনে রেখে এক পক্ষের রাজনীতির ‘কৌশল’ অবশ্য ধরে ফেলতে সময় নেয়নি বাংলার মানুষ। তাই ছ’টি উপ নির্বাচনে তাঁরা আস্থা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই। সেই ক্ষতে মলম দিতেই সিনেমা।
মুখে অবশ্য ক্লান্তি থেকে মুক্তির যুক্তি সাজাতে নারাজ বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা। সবরমতী বলেই যেন তাঁদের আগ্রহ বেশি। ঠিক যেমন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ দেখার ক্ষেত্রে উৎসাহ ছিল। প্রোপাগান্ডামূলক ছবির প্রতি তাঁদের কৌতূহল সত্যিই নজর করার মতো। সিনেমা দেখতে আসা রানাঘাট উত্তর পূর্ব কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অসীম বিশ্বাস তো বলেই দিলেন, ‘সিনেমাটা খুব ভালো। তবে, এটা দেখতে আসার সিদ্ধান্ত অনেক আগেই। এর সঙ্গে উপ নির্বাচন এবং ফলাফলের কোনও সম্পর্ক নেই। আর উপ নির্বাচন কেমন হয় সে তো জানেন!’ পিছন থেকে তখন আওয়াজ ভেসে আসছে, ‘চা খাব না?’ সঙ্গে সঙ্গে অন্য এক বিধায়কের উত্তর, ‘এখন নয়, তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠুন।’