কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভা এলাকায় সম্পত্তি কর মূল্যায়নের কাজ করে ভ্যালুয়েশন বোর্ড। এতদিন এই কাজ হত হাতে-কলমে। যাবতীয় তথ্য থাকত খাতায়। পুরসভার কর্মী বা বাইরের কোনও এজেন্সি থেকে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এই কাজ করানো হতো। ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি ঘুরে তাঁরা বাড়ির মাপজোক করার পাশাপাশি সমস্ত তথ্য নথিবদ্ধ করতেন। এই মূল্যায়নের কাজ করার সময় ভূরি ভূরি অনিয়মের অভিযোগ উঠত। বহু ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ভ্যালুয়ারের ‘মুঠো গরম’ করে বাড়ির মালিক নিজের পছন্দের মতো অ্যাসেসমেন্ট করিয়ে নিতেন। সেই অনুযায়ী সম্পত্তিকর নির্ধারিত হতো। কর কমানোর লক্ষ্যেই এহেন অনিয়ম। শুধু ভ্যালুয়ারদের একাংশই অনিয়মে জড়াতেন, এমনটা নয়। বহু ক্ষেত্রে কাউন্সিলার ও পুরসভার প্রভাবশালীদের চাপে আসল মূল্যায়ন গোপন করে খাতায় কলমে বাড়ি-ফ্ল্যাটের মাপ কম দেখানোর অভিযোগ উঠত। এই ধরনের প্রবণতা বন্ধ করতেই ডিজিটাল অ্যাসেসমেন্ট শুরু করা হয়েছে। ভ্যালুয়েশন বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্যাণী ও পানিহাটি পুরসভায় ট্রায়াল বেসিসে এই কাজ শুরু করা হয়েছে। ওয়েবল ইতিমধ্যে একটি পোর্টাল তৈরি করেছে। ভ্যালুয়েশনের কাজ করা কর্মীদের বাড়ির বাইরে ও ভিতরের ছবি তুলে, সেখান থেকেই পোর্টালে আপলোড করতে হচ্ছে। এছাড়া বাড়ির প্ল্যান, স্কেচ সহ যাবতীয় তথ্য ওই বাড়িতে থেকেই তুলতে হচ্ছে পোর্টালে। অফিসে বসে আধিকারিকরা ওই কাজ দেখে নিচ্ছেন। চলছে রিয়েল টাইম মনিটরিং। প্রত্যেক কর্মীকে ওই পোর্টালে তথ্য আপলোড করার জন্য ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। ভ্যালুয়েশন বোর্ডের এক আধিকারিক বলেন, পানিহাটি ও কল্যাণীতে প্রথম ডিজিটাল অ্যাসেসমেন্টের কাজ শুরু হয়েছে। ধাপে ধাপে তা রাজ্যের সর্বত্র হবে। আগে ম্যানুয়াল হওয়ায় খাতায় থাকা সব তথ্য সংরক্ষণে প্রচণ্ড সমস্যা হতো। এখন সমস্ত তথ্য ডিজিটালি সংরক্ষণ হবে। প্রয়োজন মতো তা দ্রুত বের করা সম্ভব। স্বচ্ছতাও বাড়বে বহুগুণ। পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, ‘ডিজিটাল অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে কাজ অনেক দ্রুত হচ্ছে।’