কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
২০২২ সালে ২২ জুলাই। নাকতলার বাড়িতে তল্লাশি ও লাগাতার জেরার পর ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একইদিনে গ্রেপ্তার হন প্রাক্তন মন্ত্রীর ‘বান্ধবী’ অর্পিতার টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার আবাসনে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। উদ্ধার হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকা, সোনার গয়না ও বিদেশি মুদ্রা। এর পরেই ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। তারপর থেকে বিভিন্ন আদালতে একাধিকবার আবেদন করলেও জামিন মেলেনি। গত সপ্তাহে মায়ের মৃত্যুর পর আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার থেকে প্যারোলে ছাড়া পান অর্পিতা। সেই প্যারোল চলাকালীনই জামিন পেলেন তিনি।
এদিন আদালত অবশ্য অর্পিতাকে জামিন দিয়েছে বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষে। বলা হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্তকারী অফিসারের কাছে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে অভিযুক্তকে। কলকাতা পুলিসের আওতাধীন এলাকা থেকে বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না তিনি। এই মামলার প্রতিটি শুনানিতে আদালতে হাজির থাকতে হবে। কোনও অবস্থায় সাক্ষীদের প্রভাবিত করা বা নথি বিকৃতি করা যাবে না। তদন্তকারী অফিসারের অনুমতি ছাড়া মোবাইল নম্বর ও ই‑মেল আইডি পরিবর্তন করতে পারবেন না অভিযুক্ত। মামলার স্বার্থে যখনই ডাকা হবে, তখনই তিনি তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দিতে বাধ্য থাকবেন। জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় যে শাস্তির বিধান রয়েছে, ইতিমধ্যে তার এক-তৃতীয়াংশ সাজা খেটে ফেলেছেন অভিযুক্ত। অন্যদিকে, অপির্তার তরফে আইনজীবীরা এদিন আদালতে জানান, এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। অথচ তাঁদের মক্কেল দিনের পর দিন কারাগারে বন্দি হয়ে রয়েছেন। এতে তাঁর মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। তাই যে কোনও শর্তে জামিনের আর্জি মঞ্জুর করা হোক। ইডির তরফে অবশ্য জামিনের বিরোধিতা করা হয়। ইডির কৌঁসুলি বলেন, ‘অভিযুক্ত জামিন পেলে মামলাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাতে পারেন। তাতে মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই ধৃতের জামিনের আর্জি নাকচ করা হোক।’ জবাবে অর্পিতার আইনজীবীরা পাল্টা বলেন, ‘তদন্তকারীরা যাবতীয় নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছেন। তাহলে অভিযুক্ত কীভাবে মামলাকে প্রভাবিত করবেন?’ দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে কেস‑ডায়েরি খতিয়ে দেখে অর্পিতার জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।