কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের সিবিআই নির্দেশ। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের বেঞ্চ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল, রাজ্য পুলিসের একটি বিশেষ তদন্তকারী টিম (এসআইটি) অভিযোগের তদন্ত করবে। সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি একটি বিশেষ বেঞ্চও গঠন করবেন, যেখানে ওই এসআইটি প্রতি সপ্তাহে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেবে।
প্রেসিডেন্সি রেঞ্জের ডিআইজি আকাশ মাখারিয়া, হাওড়া গ্রামীণের এসপি স্বাতী বাঙ্গালিয়া এবং হাওড়ার ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) সুজাতা কুমারী বীণাপানি, এই তিনজনকে এসআইটির সদস্য করা হয়েছে। এরা বাংলায় চাকরি করলেও বেঙ্গল ক্যাডারের নন। তদন্তের প্রয়োজনে অন্য পুলিস অফিসারদেরও সাহায্য নিতে পারবে বিশেষ তদন্তকারী টিম। অভিযোগকারিণীরাও এসআইটি’র কাছে তাঁদের বক্তব্য জানাতে পারবেন।
সোমবার রাজ্যের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন, ৮৮টি মামলা অহেতুক সিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাজ্যের বিরুদ্ধে কোনও মামলা হলেই হাইকোর্ট সিবিআই তদন্ত দিয়ে দিচ্ছে। এটা মোটেই ঠিক নয়। পাল্টা দুই অভিযোগকারিণীর আইনজীবী রঞ্জিত কুমার এবং নরেন্দ্র হুডা বলেন, রাজ্য পুলিস রাজনৈতিক চাপে কাজ করছে। তাই তদন্ত ঠিকভাবে হয় না। ফলে হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশই সঠিক। যা শুনে বিচারপতি সূর্য কান্তর পাল্টা প্রশ্ন, আপনারা কি বলতে চাইছেন রাজ্য পুলিসের উচ্চ পদস্থ অফিসারদের কোনও নিরপেক্ষ অবস্থান নেই? সবাই রাজনৈতিক চাপের কাছে নত? এটা কখনও হয় নাকি। যেকোনও মামলাই সিবিআইয়ের হাতে চলে গেলে রাজ্য পুলিসের মনোবল ভেঙে যাবে। তাই সুপ্রিম কোর্ট মনে করে, রাজ্য পুলিস যথেষ্ট পারদর্শী। তারাই তদন্ত করতে পারবে। সিবিআইয়ের প্রয়োজন নেই।