শরিকি সম্পত্তি মামলায় ফল অনুকূল হতে পারে। উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণায় উন্নতির যোগ। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
ডাঃ দে সরকারের অভিযোগ, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীভর্তিও তখন নিয়ন্ত্রণ করত সিপিএমের গুন্ডারা। ডাক্তারদের শাসাত। কোন রোগী বেড পাবেন, কে মাটিতে থাকবেন, সব ঠিক করে দিত ওরা। এমনকী, কোন রোগীর খাবার কেমন হবে, তাও বলে দিত। কথায় কথায় শাসানি, ধমকানি ছিল জলভাত। যদিও সিপিএমের ডাক্তার সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ডাঃ উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘আমাদের সময়ে সব মেডিক্যাল কলেজে ফি-বছর ভোট হতো। হয়তো কখনও আমাদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততেন। আমাদের সময়ে থ্রেট হয়েছে বললে তো হবে না, প্রমাণ দিন। আমি কিছু মনে করতে পারছি না।’ তবে উৎপলবাবুর দাবি নস্যাৎ করে অসংখ্য সরকারি সিনিয়র চিকিৎসক জানিয়েছেন, সিপিএম জমানায় বর্ধমান, এনআরএস, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সহ অসংখ্য মেডিক্যালে বছর বছর ভোট হয়নি। বিশেষত জেলার কলেজগুলিতে নির্বাচন হতোই না। ভোট হয়েছে বলে খাতায়কলমে দেখানো হলেও বাস্তবে প্রহসন হতো। সত্যপ্রিয়বাবু বলেন, ‘এসএফআই না করলে প্রেম করতে দিত না। ছেলেমেয়েদের ধরে প্রিন্সিপালের কাছে নিয়ে যেত। মাস্টারমশাইরা বলতে বাধ্য হতেন, ইউনিয়নের এই পাঁচটা ছেলেকে পাশ করাতে হবে। তাদের হাতে প্রশ্নপত্র দিয়ে দিত। হস্টেলের ঘর কে পাবে, এসএফআইয়ের দাদারা ঠিক করে দিতেন। গোলমাল হলেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিলপিল করে এসএফআই সমর্থকরা ঢুকে হস্টেলের ঘর ভাঙচুর করে চলে যেত। স্টেশনে যাওয়ার রাস্তায় হাঁটতাম ভয়ে ভয়ে। এই বোধহয় রাস্তায় ধরে মারবে। এই বোধহয় বইপত্র সব কেড়ে নেবে। তাঁরা আজ বলছেন সমাজ সংস্কারের কথা?’ এসএফআইয়ের রাজ্য সহ সভাপতি শুভজিৎ সরকার বলেন, ‘থ্রেট কালচার সমর্থন করি না। তবে কলেজে ভোট না হওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। আর তৃণমূল জমানায় থ্রেট কালচারের সঙ্গে জুড়েছে টাকাপয়সার লেনদেন।’