শরিকি সম্পত্তি মামলায় ফল অনুকূল হতে পারে। উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণায় উন্নতির যোগ। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
আর জি কর কাণ্ডে খুন ও দুর্নীতির মধ্যে যোগ কোথায়, সেই সূত্র খুঁজছে সিবিআই। তদন্তকারীরা জেনেছেন, কোভিডের সময় বিভিন্ন জিনিস কেনার জন্য বড় অঙ্কের টাকা এসেছিল এই হাসপাতালে। খাতায় কলমে তা কেনা হয়েছে বলে দেখানো হলেও বাস্তবে তা কেনা হয়নি। এজেন্সির দাবি, হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে এই টাকা বাইরে বের করে নিয়ে গিয়েছেন। এই কাজে জড়িত ছিলেন চিকিৎসক আশিষ পান্ডে ও তাঁর বৃত্তের লোকজন। তাঁরা বিভিন্নভাবে আর্থিক দিক থেকে লাভবান হয়েছেন বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। এছাড়া হাসপাতালে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা। বাজার চলতি দামের থেকে অনেক বেশি দামে সেগুলি কেনা হয়েছিল। তদন্তে উঠে আসছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ তাঁর ঘনিষ্ঠ ডাক্তার আশিস সহ অন্য চিকিৎসকদের বলেন, নতুন যন্ত্র কেনার জন্য রিক্যুইজিশন লিখতে। সেইমতো তাঁরা পাঠিয়েছিলেন। এরমধ্যে এমনকিছু যন্ত্রপাতির রিক্যুইজিশন দেওয়া হয়েছিল, যেগুলি আগে থেকেই ছিল আর জি করে। এমনকী সেগুলি খারাপ অবস্থায় পড়েও ছিল না। তারপরেও সেগুলি কেনার জন্য স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে সুপারিশ করেন সন্দীপ। দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় টাকা অনুমোদন হয়ে আসার পর খাতায় কলমে সন্দীপ দেখান, এগুলি কেনা হয়েছে। বাস্তবে তা কোনওদিনই ঢোকেনি আর জি করে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, এক্ষেত্রেও আর্থিক দিক থেকে সুবিধাভোগী ছিলেন আশিস। এই বিষয়গুলি নিয়ে অভয়ার সঙ্গে অভিযুক্ত চিকিৎসকের কোনও গোলমাল হয়েছিল কি না, সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।