শরিকি সম্পত্তি মামলায় ফল অনুকূল হতে পারে। উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণায় উন্নতির যোগ। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে দিল্লি ও কলকাতায়। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব টি ভি সোমানাথনের নেতৃত্বে ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি সোমবার বৈঠকে বসে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং ওড়িশার মুখ্যসচিব ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেই বৈঠকে যোগ দেন। ঘূর্ণিঝড় সামাল দিতে আগাম কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চায় কেন্দ্র। তারা জানায়, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৪টি টিম পশ্চিমবঙ্গে, ১১টি টিম ওড়িশায় পাঠানো হয়েছে। ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যে সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীকে। এদিন সন্ধ্যায় নবান্নে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিক, পুলিসকর্তা এবং আবহাওয়া দপ্তরের কর্তারা বৈঠকে ছিলেন। জেলা প্রশাসনগুলিকে সম্ভাব্য দুর্গত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী পাঠানো ও মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। উপকূলবর্তী এলাকায় মানুষকে সতর্ক করতে মাইকিং শুরু হয়েছে। কৃষিদপ্তর বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করেছে চাষিদের জন্য। দক্ষিণবঙ্গের যেসব জায়গায় ধান ৮০ শতাংশ পেকে গিয়েছে, দ্রুত তা কেটে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সব্জি, ফলের জমিতে জমা জল বার করার জন্য ব্যবস্থা রাখা এবং ঝোড়ো হাওয়া থেকে বাঁচাতে মাচা বেঁধে রাখার পরামর্শ দিয়েছে সরকার।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে এদিনই সুস্পষ্ট নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ, মঙ্গলবার সকালের মধ্যে এটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। বুধবার ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ বঙ্গোগপসাগরের ওই অংশে সৃষ্টি হবে। তারপর উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসবে।