উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
মেদিনীপুর শহরে তৃণমূলের এই ফলাফল নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অনেকেই বলছেন, শহরের নেতারা নিজেদের মধ্যে যেভাবে কোন্দলে জড়িত, তাতে মেদিনীপুরের মানুষ বীতশ্রদ্ধ। এই ফল তো হওয়ারই ছিল! প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানের সঙ্গে কোন্দল রয়েছে শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডবের। সৌমেন জুন মালিয়ার অনুগামী হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে, বিশ্বনাথ জেলা সভাপতি সুজয়ের অনুগামী। জুনের সঙ্গে সুজয়ের ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’ দীর্ঘদিনের। গতবছর ডিসেম্বরেই সৌমেনের অপসারণ চেয়ে পুরসভায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন বিশ্বনাথ পাণ্ডব সহ ১০জন কাউন্সিলার। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে নেতাদের কালীঘাটে ডেকে পাঠান মমতা। সবাইকে একসঙ্গে চলার বার্তা দেন। কিন্তু একসঙ্গে চললে কি এই ফল হতো? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
এবারের নির্বাচনে মেদিনীপুর শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি ওয়ার্ডেই পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। ১, ২, ১১, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ২১, ২২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড বাদে বাকি ১৫টি ওয়ার্ডে এগিয়ে বিজেপি। যে চেয়ারম্যান সৌমেন খানের চোখ দিয়ে মেদিনীপুর চিনেছিলেন জুন, তাঁর ১৮নম্বর ওয়ার্ডেই প্রায় ১১০০ ভোটে পিছিয়ে তৃণমূল। জুনের নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক সৌরভ বসুর ৯নম্বর ওয়ার্ডে ২০ ভোটে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডবের ১৯নম্বর ওয়ার্ডে ৮০০ভোটে এগিয়ে বিজেপি। শহরের মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌ রায়ের ৫নম্বর ওয়ার্ডেও ১৪৩ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। যদিও ১৩নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা শহরের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন নিজের ১৩নম্বর ওয়ার্ডে সর্বাধিক ১৭৫১ভোটে লিড দিয়েছেন তৃণমূলকে। যা নিয়ে দলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, শহরের দলের কোন্দল তো ছিলই, কিন্তু নির্বাচনী কমিটি তৈরি নিয়ে আরও বেশি মনোমালিন্য সামনে আসে। নিজের ‘আস্থাভাজন’দের নিয়েই শহরের কমিটি গড়ে দেন জুন। কমিটির মাথা থেকে বাদ দেওয়া হয় শহর সভাপতিকে। জেলা সভাপতিকেও মেদিনীপুর বিধানসভায় নাক গলাতে নিষেধ করা হয়। নেতাদের এই রেষারেষির ফল যা হওয়ার তাই হল। এনিয়ে জেলা সভাপতি বলেন, কেন এই ফল তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। কোথাও অন্তর্ঘাত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। এনিয়ে রিপোর্ট কি পাঠিয়েছেন রাজ্যে? জেলা সভাপতির উত্তর, রাজ্যে পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট পাঠানো হবে।
কেন শহরের এই ফলাফল? শহরের নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক বলেন, চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু মানুষ মুখ ফিরিয়েছে। আগামী দিনে ভুল-ত্রুটি যাতে শুধরে নেওয়া যায় সেই চেষ্টা করব।