গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
তিনবছর পর এবার লোকসভা ভোট। ‘অব কী বার ৪০০ পার’— জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু মধ্য কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে যোগাযোগ ভবনের কাছে মলঙ্গা লেনের সেই সাফাইকর্মী লক্ষ্মীদেবী এখনও ৫০০ টাকা ভাড়ায় বস্তির একচিলতে ঘরেই রয়েছেন। পুত্র, পুত্রবধূ আর নাতি-নাতনি নিয়ে কষ্টে দিনযাপন। জায়গার অভাবে ফুটপাতেও শুতে হয়, নিজেই জানাচ্ছেন লক্ষ্মী। অথচ প্রকল্প বাবদ বাংলার প্রাপ্য সমস্ত অর্থ বন্ধ রেখে, তিন বছর পরে ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পাকা বাড়ির স্বপ্ন বিলি করার ‘জুমলা’ নতুন মোড়কে শুরু। বিজ্ঞাপনে এবার অন্য মহিলার ছবি। পাল্টে গিয়েছে ট্যাগ লাইনও। এবার তা মোদির গ্যারান্টি হয়েছে। শীর্ষক হয়েছে, ‘মধ্যবিত্তের সেবা, মধ্যবিত্তের নিজের বাড়ির স্বপ্ন হবে সত্যি।’
কিন্তু যে মহিলাকে মোদির পরিষেবা প্রাপকের ‘প্রতীক’ বানিয়ে ‘জুমলা’ পরিবেশন করা হয়েছিল, কেমন আছেন তিনি? মলঙ্গা লেনের বস্তির ঘরে থাকেন ওই সাফাইকর্মী লক্ষ্মীদেবী। তাঁর কথায়, ‘কখন যে আমার ছবি কে তুলল, জানি না। আমার তো বাড়িই নেই। বস্তির এই ভাড়ার ছোট ঘরে প্রায় ৫০ বছর ধরে রয়েছি। আমার ছবি কাগজে বের হওয়ার পর হাতে এসে নগদ এক লক্ষ বা ১ লক্ষ ২০ হাজার এরকম একটা টাকা দিয়ে গিয়েছিল।’ বুধবার সন্ধ্যায় সেই লক্ষ্মীদেবীর বক্তব্য—‘কে বা কারা সেই টাকা দিয়ে গিয়েছিল, এখন মনে নেই। তবে আর কারও কাছে যেন মুখ না খুলি, তা বলে গিয়েছিল।’
মাঝবয়সি এই মহিলার কথা শেষ হওয়ার আগেই ‘সঞ্জয়’ (মহিলার ছেলে) এসে কার্যত জোর করে সরিয়ে নিয়ে যান তাঁকে। এগিয়ে আসেন কয়েকজন পড়শিও। ঝাঁঝালো গলায় তাঁদের পরামর্শ ‘অনেক হয়েছে, আর কোনও ছবির দরকার নেই। আপনারা যান।’ মোদি সরকারের এহেন জুমলা নিয়ে লক্ষ্মীদেবীর একটি ভিডিও এদিন সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক লিখেছেন—‘দু’মিনিট খরচ করে মজা নিন। মোদির গ্যারান্টিটা দেখুন।’