গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
এদিন শালবনী বিধানসভার চন্দ্রকোণা রোডের ফুটবল মাঠে জনসভা করেন অভিষেক। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের পিছনেও যে বিজেপির চক্রান্ত কাজ করছে, তা স্পষ্ট করে দেন অভিষেক। আদিবাসী অধ্যুষিত শালবনীর জনসভাতে সুর সপ্তমে চড়িয়ে অভিষেক বলেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি যদি জেতে তাহলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তফসিলি জাতি ও উপজাতি তালিকাভুক্তরা।’ কেন, তার ব্যাখ্যাও দেন অভিষেক। বলেন, ‘বিজেপি তার সংকল্পপত্রে বলেছে, ‘এবার যদি তারা ক্ষমতায় আসে তাহলে অভিন্ন দেওয়ানিবিধি আনবে। অর্থাৎ দেশের মধ্যে তফসিলি জাতি, উপজাতিদের যে অধিকার, সংরক্ষণ ব্যবস্থা রয়েছে, সেটাকেই তুলে দেবে।’
রায়ের প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বলেন, ‘আজকে (বুধবার) কলকাতা হাইকোর্টের দু’জন বিচারপতির বেঞ্চ ওবিসি সংরক্ষণ তুলে দিয়েছে। সব কাস্ট সার্টিফিকেট বাতিল করেছে। ক্ষমতায় আসার আগে যারা এই রূপ দেখাচ্ছে, তারা যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে কি হবে ভেবে দেখুন।’এদিনের সভায় কুড়মি, আদিবাসী, ভূমিজ থেকে শুরু করে জনজাতি সমাজের মানুষদের উদ্দেশ্যে অভিষেক বলেন, ‘সবাইকে মাথায় রাখতে হবে এই ভারতীয় জনতা পার্টিকে একটা ভোট দেওয়া মানে আপনার অধিকার থেকে আপনি আগামীদিনে বঞ্চিত থাকবেন।’ অভিষেক সাফ জানিয়ে দেন, ‘এই ভোট অধিকার রক্ষার ভোট। এরা যে ভাষা বোঝে সেই ভাষাতেই এদের জবাব দিতে হবে। গণতন্ত্রে শেষ কথা বলে জনতা জনার্দন। দেশের প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতি বলেন না।’
এদিন অভিষেকের সভায় ছিলেন বিদায়ী সাংসদ কুনার হেমব্রম। সদ্য বিজেপি থেকে তৃণমূলে এসেছেন তিনি। কেন এসেছেন, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনিও বলেন, ‘বিজেপি আদিবাসী বিরোধী দল। এরা শুধু হিন্দুত্বই বোঝে, আর কিছু না।’ তাঁর সংযোজন, ‘এরা ভারতের জাতিসত্ত্বা, বৈচিত্র মানতে চায় না। বিজেপি যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করবে বলছে, তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আদিবাসী সমাজ।’ বিজেপি যেভাবে মানুষের ভোটে জিতে এসে মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে, সেই প্রসঙ্গ টেনে অভিষেকের গর্জন, ‘নরেন্দ্র মোদির জনবিরোধী সরকারের মেয়াদ আর মাত্র ১০ দিন। কেন্দ্রে পরিবর্তন হচ্ছেই। কেউ আটকাতে পারবে না।’