সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
কমিশনের আঞ্চলিক কার্যালয়গুলির চেয়ারম্যানদের কাছে এই সংক্রান্ত নির্দেশ পাঠিয়েছেন এসএসসির সচিব। তাতে বলা হয়েছে, স্কুলশিক্ষা কমিশনারের তরফে অবিলম্বে শূন্যপদের সংখ্যা জানতে চাওয়া হচ্ছে। তাই ডিআইদের কাছে থেকে যেন দ্রুত এই শূন্যপদের হিসেব চেয়ে নেওয়া হয়। আগামী ২৫ জুনের মধ্যে তা এসএসসির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। বৃহস্পতিবার একজন ডিআই জানিয়েছেন, ‘শূন্যপদের যে পুরনো হিসেব রয়েছে, তার স্ক্রুটিনি করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে সংখ্যাটা কিছু বেড়ে থাকলে প্রধান শিক্ষকদের কাছে তা জানতে চাওয়া হবে। যথাসময়েই সেই পরিসংখ্যান কমিশনে পৌঁছে যাবে।’
রাজ্যের স্কুলগুলিতে শেষবার গ্রন্থাগারিক নিয়োগ হয়েছিল ২০১৩ সালে। আর গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র ক্ষেত্রে ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর, ২০১৮ সালের এপ্রিলে কর্মী নিয়োগ শুরু হয়। পাঁচ হাজারের কিছু বেশি নিয়োগ হয়েছিল সেবার। তবে, রাজ্য সরকার নতুন প্রায় পাঁচ হাজার উচ্চ প্রাথমিক স্কুল তৈরি করেছে। আবার বহু বিদ্যালয় পরবর্তী ধাপে উন্নীত হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার স্কুলের অধিকাংশতেই শূন্যপদ রয়েছে। তুলনায় কিছুটা কম হলেও বহু স্কুলে ফাঁকা গ্রন্থাগারিকের পদ।
জুলাইয়ের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে এই নিয়োগ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতে পারে বলে আশাবাদী তথ্যাভিজ্ঞ মহলের একাংশ। প্রিলিমস এবং মেইনস, এই দু’ধাপে পরীক্ষা হবে। গ্রুপ সি-র ক্ষেত্রে কম্পিউটারের প্রাথমিক জ্ঞান, টাইপিংয়ের গতি দেখা হয়। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ, কাউন্সেলিং এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা খাতে প্রাপ্ত নম্বরকে বাদ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রেও তেমন কিছু হবে কি না, তা অবশ্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেই জানা যাবে।
আজ, শুক্রবার উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা কলকাতা হাইকোর্টে। এসএসসি সূত্রে খবর, তারা এই প্রক্রিয়া শুরুর ব্যাপারে মোটামুটি তৈরি। প্রায় ১৫ হাজার শূন্যপদ রয়েছে। ফলে একটা বড় সংখ্যক শিক্ষিত যুবক-যুবতী বেকারত্বের যন্ত্রণা লাঘবের আশা দেখছেন। এর সঙ্গে শিক্ষাকর্মী এবং গ্রন্থাগারিক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় বুক বাঁধছেন আরও কিছু কর্মপ্রার্থী।