সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে লাগাতার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে দেশবাসীর জন্য বিনামূল্যের টিকার দাবি জানিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগে পর্যন্তও তাতে টনক নড়েনি কেন্দ্রের। কার্যত বাধ্য হয়েই রাজ্যবাসীর স্বার্থে সরাসরি টিকা নির্মাতাদের কাছ থেকেই ভ্যাকসিন কেনা শুরু করে বাংলা। এরপর মমতার পথেই অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীরা বিনামূল্যে টিকাকরণের দাবিতে সোচ্চার হলে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে মোদি সরকারের। আগামী ২১ জুন থেকে ১৮ ঊর্ধ্ব সকলের জন্য বিনামূল্যে টিকাকরণের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, শুরুর দিনগুলি থেকেই উৎপাদিত সব টিকা কেন্দ্রকে দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত বায়োটেক, সিরাম ইনস্টিটিউট। কেন্দ্র প্রথমে ৪৫ অনূর্ধ্বদের বিনামূল্যে টিকা দিতে চায়নি। ফলে বাংলা সহ রাজ্যগুলি সরাসরি ওই দুই সংস্থার কাছে থেকে টিকা কেনার আর্জি জানায়। কেন্দ্র নিজে উৎপাদিত টিকার ৫০ শতাংশ কিনে, বাকি ৫০ শতাংশ রাজ্যগুলিকে বিক্রি করার জন্য নির্দেশ দেয় নির্মাতা সংস্থাগুলিকে। কোন রাজ্য কত টিকা পাবে, তাও ঠিক করে দেয় মোদি সরকারই। রাজ্য তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার বরাত দিয়েছিল। তখন কেন্দ্র নির্মাতা সংস্থাগুলিকে বাংলাকে প্রথম লপ্তে ১৮ লক্ষ ডোজ পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তাও আবার ‘প্রি পেইড’ ব্যবস্থায়। অর্থাৎ, টিকা ঘরে ঢোকার আগেই মেটাতে হবে টাকা। সেইমতো গত মে মাসে ১৮ লক্ষ ডোজের জন্য প্রায় ৫৯ কোটি টাকা আগেভাগেই মিটিয়ে দেয় নবান্ন। সেই টিকাই এখন বিভিন্ন জায়গায় বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। এরপরও কেন্দ্র বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে রাজি না হওয়ায়, জুন মাসে রাজ্যবাসীর জন্য ফের নির্মাতা সংস্থার দ্বারস্থ হয় নবান্ন। কেন্দ্র চলতি মাসের জন্য ২২ লক্ষ ডোজ স্থির করে দেয়। সেইমতো অগ্রিম বাবদ ৭০ কোটি টাকা মিটিয়ে দেয় রাজ্য। কিন্তু, তারপরেই প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণে আগামী ২১ জুন থেকে দেশব্যাপী বিনামূল্যে টিকাকরণের কথা ঘোষণা করেন। ফলে রাজ্যও ওই টাকা ফেরত চাওয়ার পথেই হাঁটল।