ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
শরৎ বসু রোডের বাসভবন ছুঁয়ে এদিন দুপুর একটা নাগাদ এলগিন রোডের নেতাজি ভবনে কৃষ্ণা বসুর মরদেহ আনা হয়। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে পাঁচটা নাগাদ আসেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ সময় তিনি সেখানে ছিলেন। তাঁর কথায়, আমি অভিভাবক হারালাম। তিনি ছিলেন মাতৃসমা। তাঁর মধ্যে সাহিত্য ও ইতিহাস জ্ঞান, শিক্ষা আর রাজনৈতিক চেতনা প্রবলভাবে ছিল। মুখ্যমন্ত্রী এদিন কৃষ্ণা বসুর দুই পুত্র সুগত বসু ও সুমন্ত্র বসুকে বলেন, নেতাজি ভবন সহ উজ্জ্বল ইতিহাসকে ধরে রাখতে এবার তাঁদেরই উদ্যোগ নিতে হবে। কৃষ্ণাদেবীকে স্মরণ করে এদিন সকালে ট্যুইটও করেন মমতা। এদিন কৃষ্ণাদেবীকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজ্যপাল, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতার পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা, মেয়র ফিরহাদ হাকিম সহ একাধিক মন্ত্রী, কাউন্সিলার ও বিশিষ্টরা আসেন। কৃষ্ণাদেবীর শেষযাত্রায় পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যায় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে গান স্যালুটের পর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
১৯৩০ সালের ২৬ ডিসেম্বর পূর্ববঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন কৃষ্ণা বসু। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি। সিটি কলেজে প্রায় ৪০ বছর অধ্যাপনা করেন। সেখানকার অধ্যক্ষও ছিলেন। কংগ্রেসের টিকিটে ১৯৯৬ সালে প্রথমবার সাংসদ হন তিনি। এরপর তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আরও দু’বার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে জেতেন তিনি। বিদেশ মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন। তাঁর লেখা বইগুলির মধ্যে অন্যতম অ্যান আউটসাইডার ইন পলিটিক্স, এমিলি অ্যান্ড সুভাষ, লস্ট অ্যাড্রেসেস, প্রসঙ্গ সুভাষচন্দ্র, চরণরেখা তব, ইতিহাসের সন্ধানে প্রভৃতি।