ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
সেই কারণে পুর প্রতিনিধি এবং সংগঠনের কর্তাব্যক্তিদের তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছে, পুলিস নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। কোনওভাবেই তার উপর চাপ তৈরি করা যাবে না। এক নেতা বলেন, সারা বছর কাজ করলে তার উপরই ভরসা রাখতে হবে। শাসকদল বলে কোনও বাড়তি সুবিধা মিলবে না।
আগামী এপ্রিলে শুরু হতে চলেছে কলকাতা সহ রাজ্যের শতাধিক পুরসভার ভোট। রাজ্যের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের সুবাদে শহুরে নির্বাচকমণ্ডলীর মন জয়ে প্রত্যয়ী তৃণমূল। উল্টোদিকে বাম ও কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে উঠে আসা বিজেপির হাতে ধর্মীয় বিভাজন ছাড়া অন্য কোনও এজেন্ডা নেই বলেই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। তারা মনে করছে, বিগত পঞ্চায়েত ভোটের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে আংশিক সফল হয়েছিল বিজেপি। তাই দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা এরাজ্যে প্রচারে এসে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক কুৎসা করেছিলেন। এক ধাক্কায় রাজ্যে ১৮টি লোকসভার আসন পেয়ে যাওয়ায় রাজ্যে ক্ষমতা দখলে ঝাঁপাতে চাইছে তারা। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে হওয়া উন্নয়নের ফলে হাতে অন্য ইস্যু তেমন নেই বিরোধীদের। আইনশৃঙ্খলার অবনতির নামে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারই তাদের একমাত্র হাতিয়ার।
ইতিমধ্যে দলের একাংশের দুর্নীতি নিয়ে কঠোর মনোভাব নিয়েছেন মমতা। তাঁর নিযুক্ত পেশাদার ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক-এর পরামর্শে তৃণমূল জনসম্পর্ক নিবিড় করতে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়েছে, যা ইতিমধ্যেই সাড়া জাগিয়েছে। পাশাপাশি আইপ্যাক দলের নেতা-কর্মী এবং জনপ্রতিনিধিদের আচার-আচরণ এবং জীবনযাত্রা নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে। জেলা থেকে নেতা-নেত্রীদের ডেকে এনে রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে পিকে সমঝে দিয়েছেন। সংগঠনের অভ্যন্তরের এই শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া চলার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ রাখতে বদ্ধপরিকর রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার মতে, বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা বাদে মোটের উপর শান্তিতেই মিটেছে গত বিধানসভা উপনির্বাচন। বিরোধীরা তেমন গুরুতর অভিযোগ তুলতে পারেনি। তাই আসন্ন পুরভোটে যদি শান্তি বজায় থাকে, তাহলে বিজেপির পক্ষে তৃণমূলকে ঘায়েল করার মতো অস্ত্র আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। যার ফসল তাঁরা তুলতে চান ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে।