বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
তিনি জানান, এই পুণ্যভূমিতে ঠাকুর মা স্বামীজি ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় বিষয় নিয়ে প্রতিদিন নানা আলোচনা হয়ে থাকে। তা শুনতে ভক্তের ঢল নামে এখানে। সেই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এছাড়াও স্বামী বিবেকানন্দের সংগ্রহশালা দর্শন করতে আসেন বহু মানুষ। সেখানে বর্তমানে যে অডিটোরিয়াম আছে, সেখানে বসার মতো পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এই অডিটোরিয়াম গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিশন। এই অডিটোরিয়ামের বিভিন্ন তলে থাকবে জায়ান্ট স্ক্রিন। আগামী দিনে শীতাতপ যন্ত্র বসানোরও পরিকল্পনা রয়েছে। বিবেকানন্দ রোডে স্বামীজির ওই জন্মভিটেয় গিয়ে দেখা গেল, সেখানে রীতিমতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে ওই বহুতল অডিটোরিয়াম তৈরির কাজ।
এদিকে, স্বামীজির পৈতৃক আবাস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভগিনী নিবেদিতার সার্ধ জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এখানেই তৈরি হয়েছে ‘নিবেদিতা ভবন’। ওই ভবনে চলে অবৈতনিক কোচিং সেন্টার, দাতব্য চিকিৎসালয়। এছাড়াও স্বামী বিবেকানন্দ বিষয়ক গবেষণার কাজেও ব্যবহার হয় এই ভবনটি। এছাড়াও এখানে রয়েছে যোগ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্বামীজির এই জন্মভিটেয় ২০০১ সালের ১০ মার্চ তদানীন্তন সহ সঙ্ঘাধ্যক্ষ স্বামী গহনানন্দ নবরূপে নির্মাণের জন্য এই আবাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। ২০০৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তদানীন্তন সঙ্ঘাধ্যক্ষ স্বামী রঙ্গনাথানন্দ রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক আবাস ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে এটির দ্বারোঘাটন করেন। আর ওই বছরই ১ অক্টোবর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ডঃ এ পি জে আব্দুল কালাম এই কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন। ২০০৯ সালে রাজ্য সরকার হেরিটেজ বিল্ডিং (গ্রেড এ) হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এই আবাসকে। তারই মধ্যে উন্নতমানের এই অডিটোরিয়াম তৈরি নিঃসন্দেহে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় বলে মনে করেন অনেকেই।
এদিকে, এদিন স্বামীজির জন্মদিবস উপলক্ষে দক্ষিণেশ্বর, আদ্যাপীঠ, আলমবাজার মঠ, বরানগর মঠ, কাশীপুর উদ্যানবাটি, কাশীশ্বর মিত্রের বাড়ি, শ্যামপুকুরবাটি, শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম (কাচের মন্দির), বাগবাজার বলরাম মন্দির, ঝামাপুকুর শ্রীরামপুর সঙ্ঘ ইত্যাদি জায়গায় মহা সমারোহে বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালিত হবে। সর্বত্রই স্বামীজির আদর্শ জনমানসে তুলে ধরতে সব বয়সের মানুষ নাচ-গান-আবৃত্তি-বক্তৃতা ইত্যাদি পরিবেশন করবেন। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্যোগে মূল অনুষ্ঠানটি হবে সোমবার। ওইদিন দক্ষিণ কলকাতা ও দক্ষিণ শহরতলির বিভিন্ন বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের পড়ুয়াদের নিয়েই এই অনুষ্ঠান হবে। এখানে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী সর্বলোকানন্দজি মহারাজ, বেলুড় মঠ বিদ্যামন্দিরের অধ্যক্ষ স্বামী শাস্ত্রজ্ঞানন্দজি মহারাজ, আশ্রমের প্রাক্তনী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।