বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
নলবনের মাঠে আয়োজিত এই মেলায় মাছ-মাংসের বাহারি পদ খাবারের সুযোগ তো রয়েছেই। সেই সঙ্গে এবার এমু পাখির ডিমও খাওয়ার সুযোগ রয়েছে শহরবাসীর কাছে। মৎস্য উৎসবে যাঁরা এই ডিম বিক্রি করছেন তাঁদের দাবি, একটি এমু পাখির ডিম থেকে অন্তত ১০ জনের জন্য ওমলেট বা পোচ তৈরি করা যাবে। বিক্রেতা সংস্থার পক্ষে দেবায়ন ঘোষ বলেন, এমু পাখির ডিম সম্পর্কে আগ্রহ প্রচুর। শুধুমাত্র খাওয়ার জন্য নয়, এত বড় আকৃতির একটি ডিমকে ঘরে সাজিয়ে রাখার জন্যও অনেকেই আগ্রহ দেখান। সেই কারণেও অনেকে এই ডিম কেনার খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে দেবায়নবাবু জানান।
এদিকে, শুধুমাত্র এমু পাখির ডিম নয়, মাছ-মাংসের সঙ্গে প্রবলভাবে চাহিদা রয়েছে অক্টোপাস বা স্কুইডেরও। মৎস্য উৎসবে একাধিক সংস্থাই অক্টোপাস, স্কুইডের বিভিন্ন বাহারি পদ পরিবেশন করছে। যার মধ্যে স্কুইড চিলি, ফ্রায়েড স্কুইড রিংস, স্মোকড অক্টোপাস, চিলি-গার্লিক অক্টোপাসের মতো পদ খাদ্যরসিক বাঙালিকে আকৃষ্ট করছে। ইদানীংকালে বহু বাঙালিই মাঝেমধ্যে স্বাদবদলে এরকম সামুদ্রিক খাবারের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। এছাড়াও কোয়েল পাখির ডিম, কোয়েল তন্দুর, ভেড়ার মাংসের বিভিন্ন পদ, উটের দুধ, জাম্বো চিংড়ি, টার্কির রোস্ট, এমু দো-পেঁয়াজার চাহিদাও প্রত্যেকদিই বাড়ছে। ১০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যেই সমস্ত খাবারের দাম, ফলে বাহারি পদ খাবারের আগ্রহ বেশ ভালো। মাছের মধ্যে এখনও ইলিশ-চিংড়ির লড়াই তো লেগেই রয়েছে। মৎস্য উৎসবেও সেই লড়াই স্পষ্ট। ভালো ভালো চিংড়ি-ইলিশের পদ খাবারের জন্য আলাদা করে আগ্রহ দেখা গেল সকলের মধ্যে। মাংসের মধ্যে মুরগি, মাটন ছাড়াও এমু, কোয়েল, টার্কি, ভেড়ার মাংস খাওয়ার আগ্রহ যথেষ্ট দেখা গিয়েছে। বিশেষভাবে রাজ্যে আসা নয়া কড়কনাথ বা কালো মুরগির মাংসের বিক্রি যথেষ্ট রয়েছে বলে একাধিক বিক্রতাদের দাবি। শেষ পাতে মেলার বিশেষ আকর্ষণ বিভিন্ন মিষ্টি এবং পান। মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা জানিয়েছেন, মাছে-ভাতে থাকা বাঙালিকে নিত্যনতুন স্বাদের উপহার দিতে তাঁদের এই উদ্যোগ। যেভাবে মানুষ বিভিন্ন পদের খাবারের স্বাদ নিচ্ছে, তাতে এবারের মেলাও যে যথেষ্ট সাফল্যের মুখ দেখবে তা তিনি নিশ্চিত।