বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এক সময় জেলা প্রশাসন মেলার আগে মুড়িগঙ্গায় পলি তোলার কাজ করত। তাও হতো মেলা শুরুর কয়েকমাস আগে কোনওরকমে জোড়াতাপ্পি দিয়ে। ফলে মেলার সময় প্রতিবার ভুগতে হতো তীর্থযাত্রীদের। বহু সময় উভয়দিকের জেটিঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়াতে হতো পুণ্যার্থীদের। কয়েক বছর আগে এই কারণে সাগরমেলার সময় কাকদ্বীপ লট-৮ জেটিঘাটে দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভেসেলে উঠতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জন মারা গিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতির বদলের জন্য ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেন, কেন্দ্রীয় সরকারি বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে সারা বছর ধরে পলি তোলার কাজ করা হবে। এই কাজের উপর নজরদারি করবে সেচ দপ্তর। সেইমতো কাজও চলছে। নজরে পড়ল, মুড়িগঙ্গার মধ্যে পলি তোলার জন্য একটি জেটি তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকে পলি তুলে বড় পাইপের মাধ্যমে কাকদ্বীপের ১ নং জেটিঘাটের স্থলভাগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চলছে কর্মযজ্ঞ।
নবান্নের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, যতদিন মুড়িগঙ্গার উপর সেতু তৈরি না হচ্ছে, এটা করতে হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাথরপ্রতিমার সভায় জানিয়েছিলেন, ৫০ হাজার কোটি টাকা দেনা শোধ হলে সরকার ব্রিজ তৈরি করতে পারবে। বছর তিনেক আগে ওই ব্রিজ তৈরি করতে ১২০০ কোটি টাকার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এখন সেই খরচ আরও বেড়ে গিয়েছে। যদি সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, ব্রিজটি রাজ্য বানাবে, তাহলে তা করবে পূর্ত দপ্তর। সেক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না। উল্লেখ্য, কাকদ্বীপ লট-৮ থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত জলপথের দূরত্ব ৪.৬ কিমি। এর থেকেও বেশি দৈর্ঘ্যের উড়ালপুল তৈরি হয়েছে। কিন্তু জলের উপর তৈরি করতে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তবে এই উড়ালপুল হয়ে গেলে গঙ্গাসাগর যাতায়াত অনেক সহজ হয়ে যাবে। বকখালি, দীঘার মতো পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠবে গঙ্গাসাগর।