বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব তাঁর চিঠিতে অভিযোগ করে আরও বলেছেন, চতুর্থ দফার ভোটে পাড়ুই ও দুবরাজপুরে কোনও প্ররোচনা ছাড়াই গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিনা প্ররোচনাতেই নদীয়ার থানাপাড়া ও হরিণঘাটায় ভোটারদের উপরে লাঠিচার্জ করা হয়। ওইদিনই নদীয়ার করিমপুরে ৭৮ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা বুথের ২০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের মারধর করে। পঞ্চম দফায় হাওড়ার প্রার্থী তথা সংসদ সদস্য প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে লাঠি চালানো হয়। বুথের ভিতরেও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, যা মডেল কোড অব কন্ডাক্ট লঙ্ঘন করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সিনিয়র অফিসারদের এ ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়েছে, বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঠিকভাবে তাঁদের ডিউটি করার জন্য ব্রিফিং করা হোক। তারা যেন নিয়ম লঙ্ঘন না করে।
অত্রি ভট্টাচার্য তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ষষ্ঠ দফায় বিভিন্ন জায়গায় লাঠি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাতে মুখ্য ভূমিকায় ছিল ওই বাহিনীর জওয়ানরা। ষষ্ঠ দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কোনও রাজ্য পুলিস না থাকায় ভাষার ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়েছে। এলাকা চিনতেও সমস্যা হয়। রাজ্য পুলিস ওই দিন ক্যুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) পরিচালনা করেনি। ফলে সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি। কারণ, কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিচালিত কিউআরটি এলাকা সম্পর্কে জানে না। রাস্তাঘাট চেনে না। ফলে আধঘণ্টার বেশি সময় লেগে গিয়েছে তাদের পৌঁছতে। আগামী দফায় সেকথা বিবেচনা করে তাই অনুরোধ রাখছি, কিউআরটি পরিচালনার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা দরকার। কিউআরটি’র দায়িত্বে একজন করে রাজ্য পুলিস রাখা হোক। ফোর্স মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়ে আবার ভাবা দরকার। যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের উপর বলপ্রয়োগ না করে, তার জন্য অনুরোধ করেন স্বরাষ্ট্রসচিব।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে সরকারিভাবে সেই আপত্তির কথা জানিয়ে দেওয়া হল। এই চিঠি পেয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসারকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।