কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
নিয়ম মতো নির্বাচনের কাজে শিক্ষক সহ সরকারি কর্মীদের থাকতে হয়। তার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হয়। শিক্ষকদের অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচন বা আগের নির্বাচনগুলিতে যেভাবে গোলমাল হয়েছে, তাতে আমরা ভীত। গত বছর পঞ্চায়েত ভোটে রাজকুমার রায় নামে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তা নিয়ে রহস্যও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দাবি করছি। পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমতির তরফে তিন দফা দাবি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে কমিশনকে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শ্রীদাম জানার বক্তব্য, এই ভোটের দায়িত্ব থেকে প্রধান শিক্ষকদের বাদ দিতে হবে। শিক্ষিকাদের একান্তই যদি দায়িত্ব দিতে হয়, তাহলে যেন তাঁদের বাড়ির কাছে দেওয়া হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির তরফেও নিরাপত্তার দাবিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে প্রত্যেক ভোটকর্মীকে বিমার আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছে এই সংগঠন। পিছিয়ে নেই বাম শিক্ষক সংগঠনও। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফেও নিরাপত্তার দাবিতে শনিবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।
বিরোধী দলগুলি তাদের দাবিদাওয়া পেশ করতে প্রায় রোজই চিঠি দিচ্ছেন কমিশনে। পিছিয়ে নেই শিক্ষকরাও। নিজেদের সুরক্ষার জন্য গত কয়েকদিন ধরেই শিক্ষক সংগঠনগুলি কাতর আর্জি নিয়ে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়েছে। বিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলির তরফে এমন তৎপরতা বেশি দেখা যাচ্ছে। বাহিনী নিয়ে যেমন বিরোধী দলগুলি কমিশনের উপর ক্রমশ চাপ তৈরি করার চেষ্টা করছে, তেমনই এই শিক্ষকরাও চাইছেন তাঁদের সুরক্ষার খাতিয়ে অন্তত সেই ব্যবস্থা কায়েম করুক কমিশন। অসন্তোষ এমন জায়গায় গিয়েছে যে, উত্তর দিনাজপুরের কয়েকশো শিক্ষক ভোটের প্রশিক্ষণেই হাজির হননি। এর জন্য শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
সরকারি কর্মীরা বিভিন্ন জেলায় নানা কারণ দেখিয়ে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করলেও, তার অধিকাংশই বাতিল হয়েছে। শিক্ষকদের অনেকেই সেই পথে না হেঁটে প্রতিবাদের রাস্তা বেছে নিয়েছেন। স্মারকলিপি, আবেদন, মিনতি করে নিজেদের দাবি আদায়ের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। শিক্ষকরা বলছেন, কমিশনের একটাই আশ্বাস, নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরাও ভাবছি। পঞ্চায়েত আর লোকসভা নির্বাচন এক নয়।