পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
বড়দিনের সন্ধ্যায় একটি সাধারণ ফুটবল ম্যাচ প্রায় রহস্য রোমাঞ্চ গল্পের চেহারা নিয়েছিল। দর্শকরা ঠাট্টা করে তাই বললেন। বিকেলের রোদ তখন পড়ন্ত। উত্তরপাড়া নেতাজি ব্রিগেড বনাম চুঁচুড়া পেয়ারাবাগান কোচিং সেন্টারের ম্যাচ ১-১ গোলে শেষ হয়েছে। ট্রাইব্রেকারে দু’পক্ষের ফলাফল ৩-৩। তবে সাডেন ডেথ শুরুর মুখেও সমর্থক আর খেলোয়াড় ছাড়া মাঠে তাপ উত্তাপ বিশেষ দেখা যায়নি। আচমকা দর্শকরা উপলব্ধি করেন দু’পক্ষই এ ওর গোলে অবলীলায় বল ঠেলে চলেছে। মুহূর্তে মাঠের মেজাজ বদলে যায়। এ বার্তা অন্যত্র রটে যায়। চুঁচুড়া মাঠের আশপাশ থেকে ভিড় উঁকি দিতে শুরু করে। মাঠের মধ্যে দু’পক্ষ ছ’টি করে গোল দিয়ে নতুন করে সাডেন ডেথ’য়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। খেলা দেখছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। তিনি ফুট কাটলেন, ‘সাডেন ডেথ’ কোথায় হে, এত ‘অনন্ত জীবন’ চলছে। দর্শকরাও মজায় মেতেছেন তখন। মাঠের প্রান্ত থেকে উড়ে আসছে চিৎকার, ‘রাতভর চালিয়ে যাও, ময়দানে পিকনিক দেব।’ দু’পক্ষের গোলকিপারের মুখ তখন দেখবার মতো। একটা অন্তত ‘সেভ’ চাই, এমন কোনও সতীর্থ বলেছিলেন কি না জানা যায়নি। তবে গোলকিপারদের গোল পোস্টের তলায় দাঁড়ানো আর গোল হজম করে ফিরে আসার ধারাবাহিকতা থামছিল না। সন্ধ্যার মুখে শেষ পর্যন্ত নেতাজি ব্রিগেডের গোলকিপার দাড়ি টানলেন। তাঁর ‘সেভ’ এবং রেফারির বাঁশি যখন মিলে গেল ততক্ষণে শুধু ট্রাইব্রেকারেই গোলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১। গোটা ম্যাচে ২৯। আরও একবার বেকায়দায় দর্শক। তাঁরা বুঝতে পারছিলেন না ভানুমতির খেল শেষ হওয়ায় দুঃখ করবেন, না ২৯ গোলের পরিসংখ্যান নিয়ে মজা করবেন। মাঠে ছিলেন চুঁচুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল সম্পাদক গোপী চক্রবর্তী। তিনিও বলেন, ‘সে যে কি একটা সন্ধ্যা বলে বোঝাতে পারব না। ১৬ বছর ধরে মাঠে ময়দানে আছি। এমন কাণ্ড কখনও দেখিনি, শুনিনি।’