পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
এই সূত্রেই তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় পাসপোর্ট চক্রে ধৃত সমরেশ বিশ্বাসের সঙ্গে। তারপর মোক্তারের ব্যবসা রমরম করে বাড়তে থাকে। এলাকায় ‘ভালো মানুষ’ হিসেবে পরিচিত ছিল সে। তাই সাইবার কাফের আড়ালে অবৈধ কাজকর্ম চলত জানতে পেয়ে তার প্রতিবেশীরা রীতিমতো বিস্মিত। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এর আগে একবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর ঘনিষ্ঠরা তাকে এই ব্যবসা থেকে সরে আসার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু বিপুল কাঁচা টাকার হাতছানি উপেক্ষা করতে না পেরে বাড়িতে বসেই সে এই চক্র চালাত বলে অভিযোগ। তবে তার পরিবারের সদস্যদের দাবি, ‘মোক্তার জাল পাসপোর্ট তৈরির ব্যবসা করত না। বাংলাদেশে রপ্তানি ও সেখান থেকে পণ্য আমদানির কাজ করত। সেই কারণে তার বাংলাদেশে যাতায়াত ছিল।’ কিন্তু অভিযোগ, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিত সে। তারপর নাম, ঠিকানা, ধর্ম বদলে অনুপ্রবেশকারীদের পরিচয়পত্র তৈরি করাত। তার ভিত্তিতে করে দিত পাসপোর্ট।
রবিউল ইসলাম নামে মোক্তারের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘আধার, ভোটার ও প্যান করিয়ে দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের থেকে নথি নিত। অনেকে সরকারি প্রকল্পের জন্য আবেদন করতেও নথি জমা দিত তার কাছে। পুলিস ধরে নিয়ে যাওয়ার পর জানতে পারলাম, এসব নথি কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়া হতো।’ আর এক প্রতিবেশী মহম্মদ সাবির বলেন, ‘এমনিতে ভালো মানুষ মোক্তার আড়ালে যে এত বড় চক্রের সঙ্গে জড়িত, আমরা টের পাইনি।’ স্থানীয় বাসিন্দা তথা সিপিএম নেতা হাবিব আলি বলেন, ‘এলাকার মানুষের নথি নিয়ে এদেশে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের পাসপোর্ট বানিয়ে দিত ও। একবার তো আমরাই এমন একটি ঘটনা ধরেছিলাম। তখন পুলিসকেও এ ব্যাপারে জানানো হয়েছিল।’